বিচার ভবনের মুখ্য সরকারি কৌঁসুলি দীপঙ্কর কুণ্ডু বলেন, ‘‘আমরা ওই দম্পতির যাবজ্জীবনই চেয়েছিলাম। শেখরের বিরুদ্ধে অন্য থানাতেও মামলা রয়েছে।’’ মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী সৈকত পাণ্ডে জানান, সাজাপ্রাপ্ত দম্পতির কাছ থেকে পাওয়া জরিমানার টাকা নির্যাতিতাকে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সেই সঙ্গে ওই কিশোরীকে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার জন্য জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকেও বলেছে কোর্ট।
২০১৪ সালে বড়তলা থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছিল সোনারপুরের বাসিন্দা শেখর ও প্রতিমাকে। উদ্ধার করা হয় কিশোরীকে। এই মামলায় বুধবার ওই দম্পতিকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত। সে দিন নিজের এক বছরের শিশুসন্তানকে নিয়ে আদালতে এসেছিল প্রতিমা। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে ছেলেকে কোলে নিয়েই জেলে যায় সে।
এ দিনও শিশুসন্তানকে নিয়ে এজলাসে আসে প্রতিমা। সাজা ঘোষণার আগে বিচারক ওই দম্পতির বক্তব্য জানতে চান। প্রতিমা বলে, ‘‘আমার এক বছরের সন্তান রয়েছে। তার কথা ভেবে আমাকে কমিয়ে ১০ বছরের সাজা দিন।’’ বিচারক বলেন, ‘‘তার মানে পরোক্ষে আপনারা দোষ স্বীকার করে নিচ্ছেন।’’ তখন চুপ করে থাকে ওই দম্পতি। এর পরেই সাজা শোনান বিচারক।