• আরজি কর কাণ্ডে ফের মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় চিকিৎসকরা, শর্তসাপেক্ষে অনুমতি হাইকোর্টের
    এই সময় | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আরজি করের মর্মান্তিক ঘটনার প্রতিবাদে ধর্মতলায় ধর্নায় বসতে চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পাঁচটি চিকিৎসক সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টর্স। শুক্রবার তাদের শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিল আদালত। এ দিন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের বেঞ্চে মামলাটি উঠেছিল। তিনি অনুমতি দেওয়ার সঙ্গে বেশ কিছু শর্তও বেঁধে দেন।

    জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস ফোরামকে বিচারপতির নির্দেশ, ২০ থেকে ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত দিনরাত অবস্থান করা যাবে। তবে ডোরিনা ক্রসিং থেকে ৫০ ফুট ছেড়ে মঞ্চ বাঁধতে হবে। ৪০ ফুটের বেশি জায়গাজুড়ে এই মঞ্চ বাঁধা যাবে না। ২০০-২৫০ বেশি চিকিৎসক বা সমর্থকদের একসঙ্গে একসময়ে জমায়েত করা যাবে না। যানজট যাতে না হয় সেই কারণে এই নির্দেশ।

    পাশাপাশি বিচারপতির আরও নির্দেশ, যাঁরা এই অবস্থানে থাকবেন তাঁরা চিকিৎসক। ফলে তাঁরা এমন কিছু করবেন না যাতে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পুলিশকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

    সামনেই ২৫ ডিসেম্বর। বড়দিনের সময় ধর্মতলা অত্যন্ত ব্যস্ত থাকে। আর তাই উৎসবের সময় চিকিৎসকদের ধর্না কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় বলে এ দিন ফের একবার আদালতে সওয়াল করেন রাজ্যের আইনজীবী। পাল্টা বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘এর আগে প্রশাসন দুটি (রাজনৈতিক দলের) বড় বড় অবস্থান বিক্ষোভের অনুমতি দিয়েছে। আমার কাছেই মামলা দুটি এসেছিল। এদের ক্ষেত্রে অনুমতি দিলে ট্রাফিক জ্যাম হবে?’ পাল্টা রাজ্যের বক্তব্য ছিল, ‘ ২০০-২৫০ লোক এই মঞ্চে আসবে বলা হলেও হাজার হাজার লোক জমায়েত করতে পারে।’ এই প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের আগের অভিজ্ঞতার কথাও উল্লেখ করেন রাজ্যের আইনজীবী। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শর্ত সাপেক্ষে ধর্নার অনুমতি পান চিকিৎসকরা।

    উল্লেখ্য, গ্রেপ্তার হওয়ার ৯০ দিন পার হয়ে গেলেও আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধ চার্জশিট জমা করতে পারেনি সিবিআই। তার ফলে জামিন পেয়ে যান তাঁরা। এর পরেই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এ বার আন্দোলনের ঝাঁঝ আরও বাড়াতে চাইছেন ডাক্তাররা। ধর্মতলায় ধর্নায় বসবেন চিকিৎসকদের যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।

  • Link to this news (এই সময়)