বেতনের টাকা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, কাটল জটিলতা, কাজে যোগ চুঁচুড়ার অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের...
আজকাল | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
মিল্টন সেন: অবশেষে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপে অচলাবস্থা কাটল। বকেয়া বেতন মেটাতে মুখ্যমন্ত্রী দিলেন তিন কোটি টাকা। কাজে যোগ দিলেন হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা।
শুক্রবার সকালে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আন্দোলনকারী অস্থায়ী কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। বৈঠক শেষে বিধায়ক জানিয়েছেন, অচলাবস্থা কাটাতে তিন কোটি টাকা দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত তা দিয়ে চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মীদের দু'মাসের বেতন দেওয়া হবে। যদিও পুরসভাকে এই টাকা ঋণ হিসেবে দেওয়া হচ্ছে। আপাতত রাজ্য সরকারের এই টাকা পুরসভা অগ্রিম হিসেবে পাবে। পরবর্তী সময়ে সেই ঋণ শোধ করতে হবে। পাশাপাশি ডিসেম্বর মাসের বেতন জানুয়ারি মাসে দেওয়া হবে। সেই অর্থ পুরসভাকেই দিতে হবে। তার জন্য পুরসভার আয় বাড়ানোর দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে।
বিধায়ক আরওজানান, হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার অস্থায়ী কর্মচারীদের বেতন দিতে মাসে দেড় কোটি টাকা খরচা হয়। অথচ পুরসভার আয় ৬০ থেকে ৭০ লক্ষ টাকা। বাকি টাকার সংস্থান করতে না পারায় এই সমস্যা হয়েছিল। অস্থায়ী কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে আন্দোলন করছিলেন। যদিও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে তিনিও সহমর্মী। কারণ তাদেরও ঘর সংসার আছে। কিন্তু জেলা সদর শহর এভাবে আবর্জনা ভরে থাকতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বৃহস্পতিবার ফিরহাদ হাকিম অরূপ বিশ্বাস ফোন করেই সমস্যা সমাধান করার জন্য বলেন। এসেছিলেন সুডার আধিকারিক জলি চৌধুরী।
এই প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান অমিত রায় জানান, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের টাকা পুরসভা পায়নি। একটা তহবিলের টাকা, অন্য খ্যাতে ব্যবহার করা যায় না। পুরসভার আর্থিক সমস্যা রয়েছে। তাই বেতন দিতে বিলম্ব হয়েছে। তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। তিনি দু'মাসের বেতনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।
পুরসভার আয় কীভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের পক্ষে রাধেশ্যাম শঙ্খ বনিক জানিয়েছেন, তাঁরা দাবি করে ছিলেন দু'মাসের বকেয়া বেতন। সেটা মিটিয়ে দিতে হবে এক সঙ্গে। বিধায়ক বলেছেন দিয়ে দেওয়া হবে। যারা আন্দোলনকারী শ্রমিক কর্মচারী তারা শুক্রবার থেকেই কাজ শুরু করবেন। কারণ সামনেই বড়দিনের উৎসব। ব্যান্ডেল চার্চে বহু মানুষ আসেন। তাই শহর অপরিচ্ছন্ন থাকুক সেটা তাঁরা চান না।
এদিন পুরসভার গেটে শ্রমিক কর্মচারীদের অবস্থান মঞ্চে এসে কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার কথা বলেন চেয়ারম্যান এবং বিধায়ক। তারপরই বিধায়ক ও চেয়ারম্যান প্রতিকি জঞ্জাল সাফাই এর কাজ শুরু করেন। একইসঙ্গে সাফাই কর্মিরা নর্দমা পরিষ্কার এবং জঞ্জাল তোলার কাজও শুরু করে দেন।