• একযোগে তিন নেতাকে সাসপেন্ড! তৃণমূল সরিয়ে দিল ওয়েবকুপার সহ সভাপতি মণিশঙ্করকে, গ্রেপ্তার তরুণ
    আজকাল | ২০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: একদিনে, একযোগে তিন যুব নেতা সাসপেন্ড। একজন তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল। অপরজন, প্রীতম হালদার। তৃণমূলের মাধ্যমিক শিক্ষক সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ছিলেন তিনি। রাজ্যের মন্ত্রী, তথা শিক্ষাসেলের সভাপতি  ব্রাত্য বসু এদিন দু' জনকে দলের সমস্ত পদ থেকে সাসপেন্ডের কথা জানিয়েছেন বিবৃতি দিয়ে, সূত্রের খবর তেমনটাই।

    অন্যদিকে, শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভানেত্রী সায়নী ঘোষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, দলের রাজ্য যুব সম্পাদকের পদ থেকে তরুণ তেওয়ারিকে সাসপেন্ড করার কথা। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, দলবিরোধী কার্যকলাপের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দল সাসপেন্ডকরার পরেই, যুব তৃণমূল নেতাকে শুক্রবার বিকেলে বড়বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পোস্তা থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, তার বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

    একের পর এক নেতাদের বিভিন্ন পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ খুব একটা স্পষ্ট হচ্ছে না এখনও। যদিও রাজনৈতিক মহলের মতে, এর কারণ, দলের নিজস্ব নীতি না মেনে সাংগঠনিক শীর্ষস্তরের কে থাকবে, কার হাতে থাকবে প্রশাসন ও দলের রাশ, তা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশ্যে মত প্রকাশ করার কারণেই এই খাঁড়া নেমে এসেছে। এই শাস্তির পর সংবাদমাধ্যমে দেওয়া প্রতিক্রিয়াতে শাস্তিপ্রাপ্ত নেতারাও একথাই বলেছেন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে।

    সাসপেন্ড হওয়া প্রসঙ্গে মণিশঙ্করের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে আজকাল ডট ইন-কে তিনি জানান, দলের মধ্যে বারবার অভিষেক ব্যানার্জিকে নিয়ে সওয়াল করার কারণেই তাঁর উপর সাসপেন্ডের খাঁড়া নেমে এসেছে। তাঁর বক্তব্য, ‘সন্দেশখালি ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন অভিষেক, বিজেপির অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছিলেন। আমি অভিষেক ব্যানার্জির পক্ষে গোটা কলকাতা জুড়ে ব্যানার লাগিয়েছিলাম, অভিষেক ব্যানার্জি, দ্য গেম চেঞ্জার দাদা। অভিষেক ব্যানার্জির পক্ষে ব্যানার লাগানোর পর ব্রাত্য বসু আমাকে নানাভাবে হুমকি দেন। তখনও দল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। শুনিনি আমি। আর জি কর ইস্যুতে জহর সরকারের পদত্যাগের পর, অভিষেক ব্যানার্জিকে সরকারের সামিল করার পক্ষে জোর সওয়াল করি। তারপরে ফের হুমকিও পাই। তাঁর কথা না শোনার জন্যই এই সিদ্ধান্ত।‘
  • Link to this news (আজকাল)