বরুণ সেনগুপ্ত: শীতকাল (Winter Season) এলেই বেশ কিছু জেলা থেকে খেজুর গুড় (Khejur Gur) তৈরির কারিগরেরা উপস্থিত হয়ে যান। তাঁরা আসেন বিভিন্ন শহরতলি-লাগোয়া জায়গায়। যেখানে এখনও কিছু খেজুর গাছ (Date palm Plant) বেঁচে আছে। কেন আসেন? কারণ হিসেবে তাঁরা বলেন, যেখানে তাঁদের বসবাস অর্থাৎ, গ্রাম বা একটু গ্রাম-লাগোয়া অঞ্চল, সেখানে খেজুর গুড় (Winter Desserts) তৈরি করে লাভের মুখ সেভাবে দেখতে পারেন না তাঁরা। খেজুর গুড় তৈরি করে সেসব জায়গায় তেমন দাম পান না।
তাই তাঁরা নদীয়া থেকে ছুটে আসেন নৈহাটিতে। একটু শহর-লাগোয়া যে জায়গা রয়েছে সেখানে তাঁরা বিভিন্ন খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন এবং সেটাকে জ্বাল দিয়ে গুড় তৈরি করেন। এই গুড়ের সর্বনিম্ন দাম এবার ১৫০ টাকা প্রতি কেজি। তাঁরা বলে দেন, এটা একেবারে টপ কোয়ালিটি নয়। যদি কেউ সত্যিই ভালো গুড় খেতে চান তাহলে তাঁদের ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দিতে হবে প্রতি কেজি। তবে দুরকম গুড় বেচেই লাভ হয় তাঁদের। একটু লাভের মুখ দেখতেই তো শহরে ছুটে আসেন তাঁরা। তবে এপথে একটু লড়াইও তো রয়েছে। যেসব জায়গায় প্রচুর গাছ রয়েছে, সেখানে রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও। তখন রোজগার একটু কমে, লাভ একটু কমে।
তাই এই গুড় ব্যবসায়ীদের একাংশের প্রশ্ন-- তাঁদের কি কোনও ভাবে সরকারি আওতায় আনা যায়? সরাসরি সরকারি কোনও সহায়তা কি পেতে পারেন তাঁরা? সরকারি তরফে কোন সহযোগিতা এলে হয়তো কিছুটা সরাহা হত তাঁদের। আপাতত তাঁরা অসংগঠিত। সর্বসাকুল্যে শীতের এই চার মাস ব্যবসা তাঁদের। তার পরেই আবার তারা ফিরে যান পুরনো পেশায়-- মাঠে-জমিতে-বাগানে জন খাটতে। এভাবেই কি তিক্ত থাকবে গুড়ব্যবসায়ীদের জীবন?