• MBA-র স্বপ্নপূরণ হল না, ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পথেই শেষ সুস্মিত! মৃতপ্রায় বাবা...
    ২৪ ঘন্টা | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • দেবব্রত ঘোষ: বাইকে চেপে এমবিএ পরীক্ষার ইন্টারভিউ দিতে যাওয়ার পথে পথ দুর্ঘটনা। গুরুতর জখম হয়েছিলেন বাবা সুব্রত কুন্ডু এবং ছেলে সুস্মিত কুন্ডু। শুক্রবার হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় সুস্মিতের। বৃহস্পতিবার দুপুরে দুর্ঘটনাটি ঘটে নবান্নের কাছে দ্বিতীয় হুগলী সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে। সুব্রত বাবু ওই হাসপাতালের আইসিইউতে এখনও মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। 

    গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। তবে এখনও পর্যন্ত ধরা পড়েনি ঘাতক লরি এবং চালক। হাওড়ার দক্ষিণ বাকসারা পোলেন পাড়ার বাসিন্দা সুব্রত কুন্ডু (৫৩) শিশুদের একটি স্কুল চালান। বৃহস্পতিবার তার একমাত্র ছেলে সুস্মিত কুন্ডু (২৩) কে বাইকে চাপিয়ে কলকাতার একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়ে যাচ্ছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল এমবিএ ভর্তির ইন্টারভিউ। বাবা বাইক চালালেও ছেলে পিছনের আসনে বসেছিল।

    বাইকটি যখন দুপুর ২.৩০টা নাগাদ কোনা এক্সপ্রেস ওয়ে ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রচ রোডে উঠতে যায় সেই সময় পিছন থেকে একটি লরি তাদের ধাক্কা মারে। বাইকের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারে ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে ছিটকে পড়েন দুজনে। এই ঘটনায় গুরুতর জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পুলিস। সঙ্গে সঙ্গে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় আন্দুল রোডের এক বেসরকারি হাসপাতালে। দুজনের শরীরে একাধিক হাড় ভেঙে যায়। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে হাসপাতালে অচৈতন্য হয়ে পড়েন সুস্মিত।

    তাদের দুজনকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার সুস্মিতের হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়। তার বাবা এখনো আইসিইউতে ভর্তি আছেন। একমাত্র ছেলের মৃত্যু সংবাদ এখনও তাকে দেওয়া হয়নি। এই ঘটনায় আত্মীয়, পরিজন এবং বন্ধুদের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিস গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনো পর্যন্ত ধরা পড়েনি ঘাতক লরি অথবা চালক। কোনা এক্সপ্রেস ওয়ের সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। লরির খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)