শিক্ষকদের নিয়ে গ্রামে এসআই, স্কুলে ভর্তি করালেন তিন শিশুকে
বর্তমান | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ইটাহার: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্রভর্তি করাতে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সঙ্গে বাড়ি বাড়ি গেলেন ইটাহার চক্রের এসআই বিপ্লব বিশ্বাস। কারও বাড়ির দুয়ারে দাঁড়িয়ে, আবার কারও উঠোনে বসে অভিভাবকদের বোঝালেন সরকারি স্কুলের সুযোগ সুবিধার কথা। ভর্তিও করালেন কয়েকজন খুদেকে। এদিন ইটাহারের খামরুয়া, আলগ্রাম, পাইকপাড়া ঘুরে ঘুরে খুদেদের সরকারি স্কুলে পাঠানোর জন্য অভিভাবকদের বোঝানো হয়। সন্তানদের সরকারি স্কুলে ভর্তির ব্যাপারে কিছুটা অনীহা তৈরি হয়েছে অভিভাবক মহলে। কারণ হিসেবে উঠে আসছে, স্কুলের পরিকাঠামোগত অভাব ও সরকারি সুযোগ সুবিধার বিস্তর প্রচারের অভাব। শুধুমাত্র মিড ডে মিলের আশায় দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েরা গ্রামের সরকারি স্কুলে যাচ্ছে বলে মত অভিভাবকদের একাংশের। ফলে প্রাথমিকে পড়ুয়ার সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এমনকী, বন্ধ হয়ে গিয়েছে বা বন্ধের মুখে অনেক স্কুল। তবে নতুন শিক্ষাবর্ষে ছাত্র সংখ্যা বাড়াতে প্রায় সব স্কুলের শিক্ষকরা গ্রামে গ্রামে যাচ্ছেন। অভিভাবকদের সরকারি স্কুলে পাঠানোর কথা বলছেন। শুক্রবার ইটাহারের খামরুয়া ও পাইকপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের সঙ্গে নিয়ে র্যালি করে বাড়ি বাড়ি যান। অভিভাবকদের আবেদন করেন সরকারি স্কুলে ছেলেমেয়েদের ভর্তি করাতে। খামরুয়া স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা আঞ্জুমানারা সরকার জানান, গ্রামে এখন সবাই মাঠে কৃষিকাজে ব্যস্ত। তাই আমরাই বাড়ি বাড়ি পৌঁছে ছাত্র ভর্তি করাচ্ছি। এসআই বিপ্লব বিশ্বাস বলেন, আজ তিন শিশুকে ভর্তি করানো হয়েছে। এর মূল উদ্দেশ্য, ড্রপ আউট আটকানো, পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করা। সঙ্গে অভিভাবকদের সরকারি স্কুলের সুযোগ সুবিধা বোঝানো। এদিন জেসিনা নাজমিনের বাড়ি যান শিক্ষকরা। বাড়িতেই তাঁর মেয়েকে স্কুলে ভর্তি করান তিনি। শিক্ষকরা বাড়িতে আসায় খুশি তিনি। পরে বলেন, আমাদের সময় তো এমন ছিল না। এবার শিক্ষকরা বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে স্কুলে ভর্তি নিলেন।
(ইটাহারের খামরুয়া গ্রামে একজনের বাড়ির উঠানে বসে এসআই ও শিক্ষক শিক্ষিকারা ছাত্র ভর্তি করাচ্ছেন।-নিজস্ব চিত্র)