বিজেপি রাজ্য সভাপতির দৌড় থেকে ছিটকে গেলেন জগন্নাথ, ভোটের সময় গরহাজির
বর্তমান | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: দলের হুইপ অমান্য করার জের! তাই শুধুমাত্রই কারণ দর্শানোর নোটিসই নয়। আরও বড় মূল্য চোকাতে হতে পারে রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। বঙ্গ বিজেপির পরবর্তী রাজ্য সভাপতির দৌড় থেকেও সম্ভবত নাম কাটতে চলেছে রাজ্য বিজেপির এই অন্যতম সহ-সভাপতির। সেক্ষেত্রে চারজন নয়। আপাতত রাজ্য বিজেপির পরবর্তী সভাপতি হিসেবে গেরুয়া শিবিরের অন্দরে চর্চা চলবে তিনটি নাম নিয়েই। সেই তিনটি নাম হল সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাত, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী এবং বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল।
গত ১৭ ডিসেম্বর লোকসভায় পেশ হয়েছে এক দেশ, এক নির্বাচন সংক্রান্ত সংবিধান সংশোধন বিল। তা পেশের সময় বিজেপির সমস্ত এমপি যাতে লোকসভায় হাজির থাকেন, সেই কারণে আগের রাতেই তিন লাইনের হুইপ জারি করেছিল বিজেপি। কিন্তু সেই নির্দেশিকা সত্ত্বেও বিজেপির মোট ২০ জন সাংসদ ওইদিন লোকসভায় গরহাজির ছিলেন। তাঁদের মধ্যে তিনজন বঙ্গ বিজেপির এমপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর, সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, জয়ন্ত রায়। জগন্নাথ সরকার ভোটাভুটির সময় গরহাজির ছিলেন। যদিও একেবারে শেষ মুহূর্তে সংসদে হাজিরা দেন রানাঘাটের সাংসদ। কিন্তু ভোটাভুটির সময় কেন তাঁরা ওইদিন লোকসভায় হাজির থাকতে পারেননি, তা ইতিমধ্যেই ওইসব এমপির একাংশের কাছে মৌখিক অথবা লিখিতভাবে জানতে চাওয়া হয়েছে। এই ব্যাপারে জগন্নাথ সরকার ‘বর্তমান’কে বলেন, আমাকে বাদ দিলে যদি দলের মঙ্গল হয়, তাহলেও আমার কোনও আপত্তি নেই। আমি বিজেপির অনুগত সৈনিকই থাকব। তবে আমি রাজ্য সভাপতির দৌড়ে ছিলাম, এমনও জানতাম না। আবার সেই দৌড় থেকে আমার নাম কেটে গিয়েছে, এমনও আমি শুনিনি। দলের ভালোমন্দের ব্যাপারে বিজেপির শীর্ষ নেতারাই সঠিক সিদ্ধান্ত নেবেন। রানাঘাটের সাংসদের দাবি, পারিবারিক কারণে মৌখিক অনুমতি নিয়েই তিনি দিল্লি ছেড়ে একদিনের জন্য রাজ্যে ফিরেছিলেন।