• ‘আমরা কি সৎ সন্তান’, বাংলার বঞ্চনা নিয়ে খোঁচা চন্দ্রিমার
    এই সময় | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: শুক্রবার রাজস্থানের জয়সলমীরে প্রাক বাজেট বৈঠকে বাংলার প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। একশো দিনের কাজ, প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার টাকা আটকে রাখা, আবাস যোজনার টাকা বন্ধ করে দেওয়া–সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প রূপায়ণে বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ করা হচ্ছে বলে সরাসরি অভিযোগ করেছেন তিনি।

    আগামী বছরের বাজেট তৈরির আগে এ দিন বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সূত্রের খবর, সেই বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন আর্থিক দাবিদাওয়া পেশ করার পাশাপাশি বাংলার বঞ্চনা নিয়ে সরব হতে দেখা যায় রাজ্যের অর্থমন্ত্রীকে। কিছুটা কটাক্ষের সুরেই তিনি বলেন, ‘আমরা কোনও সৎ মায়ের সন্তান নই। তা হলে বাংলা কেন বঞ্চিত হবে?’ চন্দ্রিমার এই কথা শুনে বেশ অস্বস্তিতে পড়ে যান নির্মলা।

    বাংলার বঞ্চনার কথা বলতে গিয়ে চন্দ্রিমা জানান, বিভিন্ন খাতে কেন্দ্রের কাছে এই মুহূর্তে প্রায় ১ লক্ষ ৭১ হাজার কোটি টাকা পাওয়া রয়েছে রাজ্যের। উদাহরণ হিসাবে তিনি যুক্তি দেন, আবাস যোজনায় কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় মোট ১১ লক্ষ বাড়ির অনুমোদন দিয়েছিল। তারপরেও আবাস যোজনা খাতে কোনও টাকা ছাড়েনি কেন্দ্র।

    বাংলার প্রাপ্য আদায়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েক বার চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। দিল্লিতে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে দাবি করা হয়ে থাকে, বেনিয়মের জন্যই বাংলাকে আবাস যোজনার টাকা দেওয়া হচ্ছে না।

    সেই অভিযোগ খারিজ করে দিয়ে চন্দ্রিমা বলেন, ‘আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যের ২৭টি জেলায় ৪৯টি মনিটরিং টিম এসেছে। তারা তা হলে কী করল?’ তিনি অভিযোগ করেন, পশ্চিমবঙ্গ দুর্যোগপ্রবণ রাজ্য হওয়া সত্ত্বেও বুলবুল, রিমেল–সহ বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ের পর কেন্দ্রের তরফ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য মেলেনি। নরেন্দ্র মোদী সরকার ‘বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও’ প্রকল্প চালু করলেও অঙ্গনওয়াড়ি প্রকল্পে বরাদ্দ না বাড়ানোয় কেন্দ্রকে এ দিন একহাত নিয়েছেন চন্দ্রিমা।

    বৈঠকের পর জয়সলমীর থেকে তিনি ফোনে ‘এই সময়’কে বলেন, ‘বৈঠকে আমি যতটুকু বলার সুযোগ পেয়েছি, বাংলার দাবিদাওয়া তুলে ধরেছি। বাংলাকে কী ভাবে বঞ্চনা করা হচ্ছে, সেটাও সবিস্তারে জানিয়েছে। আশা করি, বাংলার মানুষের কথা ভেবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী আমাদের বঞ্চনার অবসান ঘটাতে উদ্যোগী হবেন।’

  • Link to this news (এই সময়)