বাবা-ছেলে, দু'জনের কেউই ডাক্তারি পাশ করেননি বলে অভিযোগ। এও অভিযোগ, তা সত্ত্বেও তাঁরা চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। বর্ধমান শহরে পুলিশের জালে ২ ভুয়ো ডাক্তার। ধৃতরা হলেন এ কে প্রসাদ এবং দীপেশ কুমার দীপক। স্থানীয় সূত্রে খবর, তাঁদের উপর ভরসা করতেন এলাকার অনেকেই। চিকিৎসার জন্য ভিড় জমাতেন তাঁদের ক্লিনিকে। কিন্তু চিকিৎসা করার জন্য ন্যূনতম ডিগ্রি তাঁদের নেই বলে অভিযোগ। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিকের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার তাঁদের গ্রেপ্তার করেছে বর্ধমান থানার পুলিশ।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ এলাকায় একটি বাড়ির নীচে ‘ডাক্তারখানা’ খুলে বসেছিলেন বাবা ও ছেলে। ডাক্তারি পাশের সার্টিফিকেট ছাড়াই তাঁরা ক্লিনিক চালু করেছিলেন বলে অভিযোগ। জানা গিয়েছে, এলাকার কয়েকজন তাঁদের বিরুদ্ধে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরেই নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। শুক্রবার পুলিশ ওই বাবা-ছেলের ক্লিনিকে গিয়ে পৌঁছয়। তাঁদের রেজিস্ট্রেশন ও বাকি নথি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। কিন্তু সেই সব নথি সন্তোষজনক না হওয়ায় তাঁদের আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে একই অভিযোগে দীপেশ কুমার দীপককে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। সেই সময়ও বৈধ শংসাপত্র ছাড়া ডাক্তারি করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সেই সময় জামিন পেয়ে ফের ডাক্তারির ‘ব্যবসা’ শুরু করেন তিনি।
একে প্রসাদ দাবি করেছেন, তিনি বিহারে পড়াশোনা করেছেন। এরপর সেখান থেকে কমিউনিটি মেডিক্যাল সার্ভিস সংক্রান্ত ডিগ্রি অর্জন করেন। যদিও এই ডিগ্রি নিয়ে চিকিৎসা করা যায় কি না, তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম জানান, ওই বাবা এবং ছেলের ক্লিনিক সম্পর্কে জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে অভিযোগ জমা পড়ে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্ধমান থানাতেও অভিযোগ জানানো হয়েছে। তাঁদের চিকিৎসা করার রেজিস্ট্রেশন রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।