এই সময়, হরিহরপাড়া: জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে হরিহরপাড়ার থেকে আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখ গ্রেপ্তারের পর একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারী গোয়েন্দাদের হাতে। বাংলাদেশ পালানোর জন্য পাসপোর্ট তৈরি করে রেখেছিল আব্বস। কিন্তু ওপার বাংলায় অশান্তির জেরে আব্বাসের সেই ছক বানচাল হয় যায়। তার আগেই তদন্তকারী গোয়েন্দাদের হাতে ধরা পড়ে সে।
সেই পাসপোর্টটি উদ্ধার করেছে তদন্তকারীরা। আসাম থেকে বেশ কয়েক জন আব্বাসের বাড়িতে এসে কয়েকদিন ছিল বলে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছে। যে ৪টি মোবাইল ফোন তদন্তকারী আধিকারিকরা উদ্ধার করেছিল তারমধ্যে একটি গ্রুপের সন্ধান পেয়েছে তারা।
সেই গ্রুপের বেশিরভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। যারা কেরালায় কাজ করত। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। অন্যদিকে নিজের জমিতে পিঁয়াজ চাষের বীজ আনার জন্য আসামে যাতায়াত ছিল মিনারুল সেখের। কিছুদিন আগে মিনারুলের বাড়িতেও আসাম থেকে বেশ কয়েকজন এসে কয়েকদিন ছিল। গোয়েন্দারা মনে করছেন যারা আসাম থেকে এসেছিল তারাই জে এম বি সংগঠনের সদস্য।
আব্বাস যে মাদ্রাসাটি খুলেছিল সেই মাদ্রাসার আড়ালেই জে এম বি সংগঠনের মডিউল তৈরি করায় তাদের উদ্দেশ্য ছিল। তবে আব্বাস যে জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তা মানতে নারাজ তার পরিবারের লোকেরা। তাদের দাবি মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে আব্বাসকে। ধৃত আব্বাস আলির মা উম্মা বেওয়া বলেন, গোয়েন্দারা এসে আমার ছেলের কাছ থেকে শুধু মোবাইল ফোন আর পাসপোর্ট পেয়েছে। তাতেই কি প্রমাণ হয়ে গেল যে আমার ছেলে জঙ্গি। আমার ছেলেকে মিথ্যা অভিযোগে ফাঁসানো হচ্ছে। ওকে বাড়ি ফিরিয়ে আনা হোক।
স্ত্রী সাকিলা খাতুন বলেন, আমার স্বামী খুব সাদাসিধে মানুষ। ও বেশিরভাগ সময় বাড়িতেই থাকত। আর কয়েকমাস আগে মাদ্রাসা খুলে সেখানে বাচ্চাদের পড়াত। কোনোভাবেই ও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত না। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পর আমরা কোনো খোঁজ পাইনি। আমি চাই আমার স্বামীকে বাড়ি ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করা হোক। তবে এদিন এলাকা পুরো থমেথমে ছিল। প্রতিবেশীরা কেউই মুখ খুলতে চাননি। হরিহরপাড়া থানার পুলিশও একাধিকবার এসে টহল দিয়ে গিয়েছে গ্রামে।