এই সময়, হাওড়া: বাবার সঙ্গে মোটরবাইকে চড়ে এমবিএ–তে ভর্তির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছিলেন ছেলে। সেই সময়ে পথ দুর্ঘটনায় দু’জনই গুরুতর আহত হন। বৃহস্পতিবার দুপুরে নবান্নের কাছে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে ঘটনাটি ঘটে। দুর্ঘটনায় আহত যুবক শুক্রবার সকালে আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গিয়েছেন।
পুলিশ জানায়, মৃত যুবকের নাম সস্মিত কুণ্ডু (২৩)। তাঁর বাবা, ৫৩ বছরের সুব্রত কুণ্ডু এখন ওই হাসপাতালের আইসিইউ–তে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। তাঁদের বাড়ি হাওড়ার দক্ষিণ বাকসাড়ার পোলেনপাড়ায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, পোলেনপাড়ায় শিশুদের একটি স্কুল চলান সুব্রত। বৃহস্পতিবার তিনি তাঁর একমাত্র ছেলে সস্মিতকে মোটরবাইকে চাপিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উদ্দেশে। বাবা বাইক চালাচ্ছিলেন, ছেলে বসেছিলেন পিছনের সিটে।
এমবিএ–তে ভর্তির ইন্টারভিউ ছিল সস্মিতের। বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদ কোনা এক্সপ্রেসওয়ে ধরে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর অ্যাপ্রোচ রোডে যখন ওই মোটরসাইকেল সবে উঠেছে, সেই সময়ে বাইকটির গা ঘেঁষে চলে আসে একটি ট্রাক। সেটি যেন বাইকটিকে প্রায় পিষে দিচ্ছিল।
ওই অবস্থায় সুব্রত নিয়ন্ত্রণ হারান, ডিভাইডারে ধাক্কা দেয় বাইকটি। রাস্তায় ছিটকে পড়েন বাবা ও ছেলে। তাঁরা গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় আন্দুল রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। দু’জনের শরীরের বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙে যায়, মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হচ্ছিল সস্মিতের। দু’জনকেই আইসিইউ–তে ভর্তি করানো হয়। শুক্রবার সকালে মারা যান সস্মিত।
ওই ঘটনায় সুব্রতদের পরিবার, বন্ধু ও পড়শিদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তবে ঘাতক ট্রাকটিকে এখনও চিহ্নিত করা যায়নি, ধরা যায়নি তার চালককে। পুলিশ কোনা এক্সপ্রেসওয়ের বিভিন্ন সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খুঁটিয়ে দেখছে।