খোলনলচে বদলাচ্ছে হাওড়ার চাঁদমারি ব্রিজের। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬০ মিটার থেকে বেড়ে হচ্ছে ১৩৪ মিটার। পুরোনো সেতুর জায়গায় তৈরি হচ্ছে চার লেনের কেবল টাইপ ব্রিজ। কিন্তু এই ব্রিজ তৈরিতে রেলের কী কী সুবিধা হতে চলেছে?
রেল সূত্রে খবর, হাওড়া রেল স্টেশনের ওল্ড কমপ্লেক্সে বেশ কিছু প্ল্যাটফর্ম আরও লম্বা করা হবে। তার ফলে দূরপাল্লার অনেক ট্রেন সেই প্ল্যাটফর্ম সংলগ্ন লাইন দিয়ে আসা-যাওয়া করবে। প্ল্যাটফর্ম নম্বর ১, ৭, ১০, ১১, ১২, ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মের দৈর্ঘ্য বাড়ানো হবে। এছাড়াও ২০২৫ সালেও মার্চ মাসের মধ্যে ১৫ ও ২৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম নির্মাণ করা হচ্ছে যাত্রীদের সুবিধার জন্য। পুরোনো সিগন্যালিং সিস্টেমের পরিবর্তে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিং সিস্টেম তৈরির সুযোগ থাকছে।
আগামী বছর ডিসেম্বর মাসের মধ্যে নয়া ধাঁচের চাঁদমারি ব্রিজ যাত্রীদের জন্য উপহার দেওয়া হতে পারে। ডিআরএম হাওড়া সঞ্জীব কুমার বলেন, ‘২০১০-১১ সালে নতুন চাঁদমারি ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। গত বছর থেকে কাজ শুরু হয়েছে। এই কেবল টাইপ চার লেনের ব্রিজ বানাতে ও সম্পূর্ণ প্রকল্পের জন্য খরচ হচ্ছে ২০০ কোটি টাকা। আগামী বছর ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।’
হাওড়া স্টেশনের অনতিদূরে জরাজীর্ণ ‘চাঁদমারি ব্রিজ’ বা ‘বাঙালবাবুর ব্রিজ’ পুনর্নির্মাণ করার পরিকল্পনা করা হয় ২০১০-১১ সালে। তবে, কাজ শুরু হতে অনেকটাই বিলম্ব হয়। নয়া ব্রিজ হলে আগামী দিনে হাওড়া স্টেশনের ইয়ার্ডের কাছে রেল লাইন সম্প্রসারণ ও সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যের প্ল্যাটফর্ম তৈরি হলে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে বলেও রেল সূত্রে খবর।