• পর্যটনের মরসুমে পর্যটকশূন্য বক্সা, ব্যাঘ্র প্রকল্পের বনাঞ্চলে বন্ধ হোটেল-হোমস্টে...
    আজকাল | ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • অতীশ সেন

     

    বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ভিতর সমস্ত হোম-স্টে ও রিসর্ট বন্ধের নির্দেশের জেরে বিপাকে পড়েছেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। জাতীয় গ্রিন ট্রাইবুনালের নির্দেশের পর বনদপ্তরের পক্ষ থেকে জারি করা হয়েছে এই নিষেধাজ্ঞা। ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সমস্ত বুকিং বাতিল করে পর্যটকদের টাকা ফেরত দিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি কিছু পর্যটককে বনাঞ্চলের বাইরে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক ট্যুরিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক মানব বক্সী জানিয়েছেন, ২৩ তারিখ আদালতের পরবর্তী শুনানির দিকেই এখন নজর রয়েছে তাঁদের। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞা বিশাল ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইংরেজি বড়দিন ও নতুন বছরের ঠিক আগে বনদপ্তরের এই নিষেধাজ্ঞার জেরে এখন পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে বক্সা টাইগার রিজার্ভ।

     

     

    অন্যান্য বছর এই সময় পর্যটকের ভিড়ে লেগেই থাকে জয়ন্তী, সান্তালাবাড়ি, রায়মাটাং ও বক্সা ফোর্টের মতো জনপ্রিয় জায়গাগুলিতে। এই এলাকা জুড়ে ১৫০টির মত রিসর্ট এবং হোমস্টে রয়েছে। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে রয়েছে প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষের রুজি রোজগার। বক্সায় নিষেধাজ্ঞার কারণে পর্যটকরা বর্তমানে জলদাপাড়া, লাটাগুড়ি, চিলাপাতা, ঝালং এবং গরুমারার মত জায়গায় ঘুরতে যাচ্ছেন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হাইকোর্ট স্পষ্টভাবে কোনও লিখিত নির্দেশ দেয়নি যে রিসর্ট বা হোম স্টে বন্ধ রাখতে হবে। বনদপ্তর এক প্রকার জোর করে এই নির্দেশিকা দিয়েছে।

     

     

    অন্যদিকে, বনদপ্তর সূত্রে খবর, গ্রিন ট্রাইব্যুনালের ২০২২ সালের নির্দেশ অনুযায়ী বক্সা টাইগার রিজার্ভের ভেতরে কোনও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান থাকতে পারবে না। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত এই নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ থাকলেও পরে তা আর নবীকরণ হয়নি। হাই কোর্টের সেই স্থগিতাদেশের মেয়াদ উঠে যেতেই জাতীয় গ্রীন ট্রাইবুনালের ২০২২ সালের ৩০ মে-এর পূর্ববর্তী আদেশনামা পুনরায় লাগু হয়ে গিয়েছে। যার জেরেই নোটিশ দিয়েছে বনদপ্তর। পর্যটনের মরসুমে ক্ষতির মুখে পড়ে হতাশ ব্যবসায়ীরা। সকলের নজর এখন ২৩ ডিসেম্বরের শুনানির দিকে।
  • Link to this news (আজকাল)