পিয়ালী মিত্র: পাখির চোখে যদি গঙ্গাসাগরকে দেখা যায়, দেখা যাবে বিভিন্ন শাখা প্রশাখা এসে গঙ্গাসাগর মিশেছে। ঠিক তেমন এই চাল গম দুর্নীতির সব ক্ষেত্রেই তাঁর সঙ্গে যুক্ত। যাঁরা ভুয়ো সংস্থা খুলেছেন তাঁরা ওনার লোক, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে খুলেছে, যাদের কাছে টাকা গিয়েছে তাঁরা সবাই ওঁর লোক -রেশন দুর্নীতিতে বালুর জামিনের বিরোধীতা করে আদালতে মন্তব্য করল ইডি।
ইডি: এই দুর্নীতির এফআইআরে প্রথমে ওঁর নাম ছিল না। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে একাধিক নথি তথ্য ইডির হাতে আসে । তা থেকে দেখা যাচ্ছে এফআইআর-এ নাম না থাকলেও এই দুর্নীতির ‘রিং মাস্টার’ উনি। ইডির আইনজীবীর আরও মন্তব্য, ষড়যন্ত্রকারীরা সামনে আসেন না, পিছন থেকেই পরিচালনা করেন। এই দুর্নীতি চালনা করে ছিলেন তিনি। দুর্নীতির সময়কালে উনি প্রবল ক্ষমতাশালী ছিলেন।
প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ২০ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। রেশন বণ্টন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র মিলেছে তাঁর বাড়ি থেকে। সেই নথির উপর নির্ভর করেই গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে। কিছুদিন আগেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আইনজীবীর তরফ থেকে কারণ আগেই দেওয়া হয়ে গিয়েছে। শনিবার কোর্টে ইডি কেন সেই জামিনের বিরোধিতা করছেন তার স্বপক্ষে ইডি আজ নিজের দিক পরিবেষণ করেন।
রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমিক ভট্টাচার্য তিনি জানান, 'জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক খাদ্যমন্ত্রী থাকা কালীন তৃণমূলের অনুমোদন এবং অনুপ্রেরণায় যে দুর্নীতি হয়েছে। ভারতবর্ষের সর্ববৃহৎ দুর্নীতি সেটা। যদি টাকার নিরিখে ধরা যায় তাহলে সেটি টুজি বা কলগেটকে ছাপিয়ে যাবে। যিনি এই দুর্নীতির জন্যে ব্যাট ধরেছিলেন। কোচ পেছনে অন্য কেউ ছিল। তাই তাঁর বিরুদ্ধে এই কথা বলা হবেই।'