লুকোচুরি খেলা চলছে। কিছুতেই ধরা দিচ্ছেন না ‘মহারাজ’। দিনভর তল্লাশির পরেও শনিবার বাঘিনী জ়িনাতের সন্ধান পেলেন না বনকর্মীরা। মাঝে কিছুটা সময় বাধ সেধেছে জঙ্গলের ভেতর দুর্বল ইন্টারনেট পরিষেবা। ঝাড়গ্রামের প্রত্যন্ত কয়েকটি গ্রামে সতকর্তা জারি করা হয়েছে বন দপ্তরের তরফে।
বন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল থেকে জ়িনাতের সঙ্গে কোনওভাবেই সম্পর্ক করতে পারেনি বন দপ্তর। জিপিএস ট্র্যাকার হাতে নিয়ে বিভিন্ন বড় কর্মী ও আধিকারিকরা দলে ভাগ হয়ে বেলপাহাড়ি এলাকার জঙ্গলপথে সন্ধান করতে থাকে জ়িনাতের। ইন্টারনেট পরিষেবা ঠিকমতো না থাকায় বাঘিনী জ়িনাতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। অবশেষে বাঁশপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জুয়ারধরা গ্রামে জ়িনাতের গতিবিধি লক্ষ্য করা যায়।
জুয়ারধরা গ্রাম-সহ বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় জ়িনাতের সন্ধান। বেলপাহাড়ি থানার পক্ষ থেকে বিভিন্ন গ্রামে পুলিশকে টহলদারি করতেও দেখা যায়। পাহাড় জঙ্গলে ঘেরা গ্রামেগুলিতে বিশেষ সতর্কতা জারি করে বন দপ্তর। ঝাড়গ্রামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, ‘ভুলাভেদা রেঞ্জের কাঁকরাঝোড় জঙ্গলে বাঘিনীর গতিবিধি রয়েছে। জঙ্গল লাগোয়া আট-ন'টি গ্রামে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবন থেকে একটি টিম আনা হয়েছে। বাঘিনীকে ধরার সব রকম চেষ্টা চলছে।’
জঙ্গল সংলগ্ন জুয়ারধরা, জবলা, ছুরিমারা, মানিয়ার্ডি , তেলিঘানা, ওড়লী, দলাদলি, আমলাশোল, ময়ূরঝর্ণা , কাঁকড়াঝোর এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। জুজারধারা গ্রামের বাসিন্দা নিত্যানন্দ মাহাতো বলেন, ‘সকালে বন বিভাগের অফিসাররা গাড়ি করে গ্রামে এসেছিল। গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলে বাঘের ঢোকার খবর শুনছি। জঙ্গলের দিকে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। চাষবাস ও পশুপালন করে গ্রামবাসীদের সংসার চলে। বাড়ি থেকে বের হতে না পারায় বিপদের মধ্যে পড়েছি।’ কবে ধরা দেবে জ়িনাত, অপেক্ষায় গোটা ঝাড়গ্রাম।