হোটেলে খেতে গিয়ে পকেটমারির শিকার আইনজীবী। মালদহ জেলাশাসকের দপ্তরের সামনেই পকেটের টাকা, কাগজ খোয়ালেন বার অ্যাসোসিয়েশনের আইনজীবী। ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরায় ধরাও পড়েছে সেই পকেটমারির ফুটেজ। ভিড় ক্যান্টিনে কী ভাবে গুটি গুটি পায়ে গিয়ে ওই আইনজীবীর পিছনে দাঁড়াল এবং পিছনের পকেট থেকে টাকা তুলে নিল পকেটমার, সবটাই নজরে আসে ক্যান্টিনে থাকা নজর-ক্যামেরার। থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে।
আইনজীবী মহম্মদ মুজিবুর রহমান গত ১৬ তারিখ জেলাশাসকের দপ্তরের সামনেই খাবারের হোটেলে খেতে গিয়েছিলেন। খুব ভিড় সেই সময়। তাই তিনি দরজার এক পাশে দাঁড়িয়ে নজর রাখছিলেন, কোন সিট ফাঁকা হবে, গিয়ে বসবেন। এ দিকে অন্য এক জোড়া চোখ যে তাঁকে নজর রাখছে, তা বুঝতে পারেননি মুজিবুর।
খাওয়া দাওয়া সেরে টাকা পয়সা মিটিয়ে চলে আসেন। মুজিবুর জানান, সব সময়ের খরচের টাকা পিছনের পকেটে রাখেন না, তাই সে পকেটে হাতও দেননি। পরে এসে যখন টাকা বের করবেন, দেখেন পকেট ফাঁকা। তিনি জানান, পকেটে হাজার টাকার উপরে ছিল, প্রয়োজনীয় নথি ছিল, সবই গায়েব। তিনি তো বুঝেই উঠতে পারছিলেন না কোথায় যেতে পারে টাকা। ভাবতেও পারেননি ওই হোটেলে এমন ঘটনা ঘটবে।
তন্নতন্ন করে কাজের জায়গায় খোঁজেন। মুজিবরের কথায়, ‘বারে ফিরে এসে দেখি কয়েক হাজার টাকা উধাও। কয়েকটা কাগজও উধাও। সিসিক্যামেরা দেখলাম বারের। কিন্তু কোথাও তো কোনও অসঙ্গতি নেই। আমি নিজেও কোথাও কিছু রাখিনি। অবাক হয়ে যাই। পরে কী মনে হল, হোটেলের ক্যামেরা ফুটেজ দেখতে চাইলাম। ১৬ তারিখের ফুটেজ দেখে চোখ কপালে উঠল আমার। আমি একা না, বারের অন্যান্য সদস্যরাও দেখেছেন কী ঘটেছে।’
মুজিবর ও বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বার অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি অরবিন্দ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘একজন আইনজীবী খেতে গিয়ে পকেটমারির শিকার হলেন, এটা তো ভাবতেই পারছি না। আমাদের ওই আইনজীবী খুবই শান্ত প্রকৃতির। বহু দিন হল এখানে প্র্যাকটিস করছেন। আমাকে এসে জানাতেই বললাম সিসিক্যামেরার ফুটেজ দেখব। গিয়ে দেখি এক যুবক মানিব্যাগ তুলে নিচ্ছে। এর আগে আমাদের বারে সাইকেল চুরি হয়েছিল। ওই ছেলেটিই এই কাজ করেছিল। বাকিটা পুলিশকে জানিয়েছি।’