পোর্টাল খুলে নৈহাটির বড়মা'র নামে তোলাবাজি, কাণ্ড দেখে অবাক পুলিশ
আজকাল | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: নৈহাটির বড়মা'র নামে পোর্টাল খুলে রীতিমতো চলছিল তোলাবাজি। মন্দির কমিটির পাতা ফাঁদে পা দিয়ে অবশেষে গ্রেপ্তার এক প্রৌঢ়। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সুরজিৎ কুন্ডু। তার বাড়ি হুগলির রিষড়ায়। শনিবার ধৃতকে ব্যারাকপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরজিৎ দেশের বড় বড় মন্দিরে পুজো দেওয়ার নামে একটি পোর্টাল খুলেছিল। তার মধ্যে নৈহাটির বড়মা'র মন্দিরের নামও ছিল। ওই পোর্টালে বড়মা'র মন্দিরে ছবি দেওয়া ছিল। তাতে বলা হয়েছে, এক হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা দিলে অনলাইনে বড়মার মন্দিরে পুজো দেওয়া যাবে। শুকনো প্রসাদ বাড়িতে পৌঁছে যাবে। আরও কয়েকটি মন্দিরে অনলাইনে পুজো দেওয়ার নামে এরকম কথা লেখা ছিল। সেখানেও মোটা অঙ্কের টাকার কথা উল্লেখ করা ছিল।
সম্প্রতি কলম্বিয়ার বাসিন্দা প্রবাসী এক ভারতীয় পোর্টালে এমন বিজ্ঞাপন দেখে নৈহাটির বড়মার মন্দিরে পুজো কমিটিকে তা জানান। মন্দির কমিটি ওই পোর্টাল দেখার পর সুরজিৎকে ধরতে ফাঁদ পাতে। ভক্ত সেজে মন্দির কমিটির সদস্য অয়ন সাহা হাজার টাকা সুরজিৎকে পাঠিয়ে দেন। তারপর মোবাইল ফোনে সুরজিতের সঙ্গে কথোপকথনের রেকর্ড বড়মা মন্দিরে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা সংগ্রহ করেন। এরপর বড়মা মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে নৈহাটি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুক্রবার রাতে নৈহাটি থানার পুলিশ রিষড়া থেকে সুরজিৎকে গ্রেফতার করে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সুরজিৎ ছাড়াও ওই পোর্টালে আরও এক মহিলা জড়িত রয়েছেন। সুরজিৎ ও ওই মহিলার বিভিন্ন ব্যাংকে একাধিক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে। তাতে বিপুল টাকা নিয়মিত লেনদেন হওয়ার নমুনাও রয়েছে। বড়মা মন্দির ট্রাস্টি বোর্ডের সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য বলেন, 'বড়মার নাম করে পোর্টাল খুলে টাকা তোলা হচ্ছে আমরা তা জানতাম না। সম্প্রতি কলম্বিয়া থেকে এক ভক্ত টেলিফোনে আমাদের ঘটনাটি জানিয়েছেন। আমরা খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাই। তারপর নৈহাটি থানায় আমরা অভিযোগ দায়ের করি। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে হুগলির রিষড়া থেকে প্রৌঢ়কে গ্রেপ্তার করেছে। আমরা চাই, ওই প্রতারণা চক্রে আরও যারা জড়িত আছে, পুলিশ তাদের গ্রেফতার করুক।'