• 'জেতা আসনেই হারতে হয়েছে লকেটকে', দলের কোন্দলকে নিশানা 'ক্ষুব্ধ' মিঠুনের...
    আজকাল | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • মিল্টন সেন: বিজেপির অস্বস্তি বাড়ালেন খোদ মিঠুন চক্রবর্তী। বিজেপির প্রকাশ্য সভায় 'মহাগুরু'র সাফ কথা, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে লকেট চ্যাটার্জি কে হারতে হয়েছে।

    শনিবার পাণ্ডুয়ার সভায় ক্ষুব্ধ মিঠুন চক্রবর্তী বলেছেন, "সদস্য সংগ্রহ লক্ষমাত্রার তুলনায় অনেক কম হয়েছে। বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। হুগলি সাংগঠনিক জেলায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লক্ষ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ৫১ হাজার সদস্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে হুগলি জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। পাশাপাশি সক্রিয় সদস্য সংগ্রহের ক্ষেত্রেও অনেকটাই খামতি রয়ে গিয়েছে। সক্রিয় সদস্য সংগ্রহ করার লক্ষ মাত্র ছিল ৩ হাজার। সেখানেও বড় খামতি নজরে পড়েছে। সক্রিয় সদস্য পদ হয়েছে মাত্র ৩৬৩ জন।" 

    পরিসংখ্যানে ক্ষুব্ধ 'মহাগুরু'। পান্ডুয়ায় সদস্যতা অভিযানের কর্মশালায় এসে দলের জেলা নেতার কাছে তাঁর প্রশ্ন, "আমি বসের নির্দেশে এসেছি। বসকে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীকে এখন কি জবাব দেব?" 

    অগ্নিশর্মা মিঠুন দলের দুর্বলতা তুলে ধরে বলেন, "আপনাদের মধ্যে খুব জোস দেখলাম। মালা পড়ানোর ধুম লেগে গেল। এর আগেও দেখেছি। ভাবলাম কিছু হয়তো হবে। কিন্তু কিছুই হল না। আমাকে ডেকে আনবেন, আমি মুড়ি গুড় খেয়ে প্রচার করব। তার রেজাল্ট হবে জিতে যাওয়া আসনে হার। কি লজ্জা! আমি কথা দিয়েছিলাম, তাই এসেছি। না হলে পার্টি কে সময় দিয়ে কি লাভ। আমি প্রধানমন্ত্রীকে কথা দিয়েছি। আমাকে অনেক কিছু অফার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আমার বিশ্বাস পার্টি শক্তিশালী হলে সব হবে। বস আমাকে বলে রেখেছেন নো মার্সি। যারা কাজ করবে না, তাদেরকে সরে যেতে হবে। এত জায়গায় ঘুরে এলাম সব জায়গায় কি জিততে পেরেছি?  না। কারন আমরা সব জায়গায় কাজ করতে পারিনি। কারণ দলের অন্দরে সমন্বয়ের যথেষ্টই অভাব রয়েছে।"

    জেতা আসনে হার তাঁর কাছে খুবই দুঃখের। মিঠুনের দাবি, "যদি সবাই কাজ করতো, তাহলে লকেট কে হারতে হত না। এই হারের পেছনে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কাজ করেছে।"
  • Link to this news (আজকাল)