• মাত্র ৪ ঘণ্টায় উদ্ধার অপহৃত নাবালিকা, দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার পুলিশের
    আজকাল | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: রূদ্ধশ্বাস চার ঘণ্টার লড়াই। পুলিশের টিমের একজোট হয়ে কাজের ফলে অপহৃত নাবালিকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ সাত বছরের এক নাবালিকা অপহৃত হয়। প্রকাশ্য দিবালোকে মোটর বাইকে চেপে দুই দুষ্কৃতী বাড়ির সামনে থেকে তাকে অপহরণ করে। সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশের কাছে খবর যায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে তখনই। 

    সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ। ৩৩ সেকেন্ডের ফুটেজ দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয় শিশুটিকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর এলাকার নানাস্থানে লাগানো সিসিটিভি চেকিং শুরু হয়। তাতে নম্বরহীন মোটর বাইক যেমন দেখা যায়, তেমন মোটরবাইকের রঙও জানা যায়। জানা যায় দুষ্কৃতীদের মাথার হেলমেটের রং এবং দুষ্কৃতীরা কী ধরনের জ্যাকেট পড়ে রয়েছে। সব কিছু পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহার ও উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশকে জানানো হয়। শুরু হয় নাকা চেকিং এলাকা জুড়ে। 

    অপহরণের কারণ জানতে অপহৃত নাবালিকার বাবাকে জেরা করেন তদন্তকারী পুলিশকর্তারা। তবে কোনও ক্লু পাওয়া যায়নি। দুপুর দেড়টা নাগাদ অপহৃতর বাবার মোবাইলে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে হুমকি বার্তা আসে। সেই নম্বরটি ট্র্যাকিং শুরু করে পুলিশ। তাতে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের লোকেশে পাওয়া যায়। এরপর বিভিন্ন স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। আর সেই মোতাবেক পুলিশ টিমকে সর্তক করা হয়। 

    পুলিশ সুপার জানান, দুপুর আড়াইটের সময় জানা যায় অপহরণকারীরা বাইকে করে যাচ্ছে। উত্তর দিনাজপুরের ট্রাফিক পুলিশকেও বিষয়টি জানানো হয়। শুরু হয় রাস্তায় নাকা চেকিং। তাতে ধীর হয়ে যায় সড়কে গাড়ির গতি। এরপর পথবদল করে অপহরণকারীরা। কিন্তু ততক্ষণে পুলিশের নজরদারি জোরালো হয়। এরপরই করণদিঘী থানার ট্রাফিক পুলিশের হাতে আটকে যায় অপহরণকারীরা। 

    পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানান, পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে নাবালিকাকে ছুড়ে ফেলে অপহরণকারীরা। তবে শেষরক্ষা হয়নি। পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয় অপহরণকারী মনসুর আলম ও এজাজ আহমেদ। ধৃতদের বাড়ি অপহৃত নাবালিকার গ্রামে। এজাজ আহমেদের এলাকায় ওষুধের দোকান রয়েছে। তাছাড়া জমির ব্যবসা করে। মূলত মোটা অঙ্কের টাকা আদায়ের লক্ষ্যে এই অপহরণ বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করছে পুলিশ। এই অপহরণকারীরা কোনও গ্যাংয়ের সঙ্গে যুক্ত কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অপহরণকারীদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেছে। ধৃতদের আরও জেরা করার জন্য ১৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
  • Link to this news (আজকাল)