• আতঙ্কের ঝাড়গ্রামে জিনাতের পরে যমুনা! জোড়া বাঘের আতঙ্কে কাঁপছে বেলপাহাড়ি...
    ২৪ ঘন্টা | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সৌরভ চৌধুরী: জিনাতের পর এবার যমুনা। সিমলিপাল টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে নতুন জায়গার সন্ধানে বেরিয়ে পড়ল যমুনাও। যে এই মুহূর্তে বেলপাহাড়িতে। যা চিন্তায় ফেলেছে বনকর্তাদের। জিনাত এবং যমুনা উভয়কেই আনা হয়েছে মহারাষ্ট্রের তাডোবা অন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে। আড়াই বছর বয়সী যমুনা সিমলিপাল থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে কুলডিহা ওয়াইল্ড স্যাংচুয়ারি দিকে ১৫ ডিসেম্বর নাগাদ বেরিয়ে যায়। যমুনাকে আনা হয়েছিল ৯ নভেম্বর। ছাড়া হয় জনাবিলের কোর এরিয়ায়। সিমলিপাল ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্রের ডিরেক্টর প্রকাশ চাঁদ গোগিনানি ব্যাঘ্র প্রকল্প থেকে যমুনা বেরোনোর কথা স্বীকার করলেও তার গতিবিধি বলতে নারাজ। 

    ওড়িশার সিমলিপালের টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে বেরিয়ে যমুনা এবার বাংলার বেলপাহাড়ি থানার শিমুলপাল এলাকায়। বেলপাহাড়ি থানার বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তবর্তী গোটাশিলা পাহাড়-লাগোয়া কোটাচুয়া জঙ্গলে এই মুহূর্তে অবস্থান বাঘের। বেলপাহাড়ি থানার শিমুলপাল অঞ্চলের জোড়মা, বিরমাদল, শাখাভাঙা, জাম্বনী এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক করা হয়েছে। বন দফতর এবং পুলিসের তরফ থেকে সতর্ক করে মাইকিংও করা হচ্ছে। ঝাড়খণ্ডের ঘাঘরা, পাকুড়িয়া এলাকার বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উভয় রাজ্যের সীমান্ত-লাগোয়া গ্রামবাসীদের জঙ্গলে কাঠপাতা কুড়োতে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এলকায় খাঁচা নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ওড়িশার রিজার্ভ ফরেস্টের এসটিআর টিম ও পৌঁছেছে এলাকায়। যৌথ নজরদারি চলছে।

    ফলে বাঘের আতঙ্কে কাঁপছেন বেলপাহাড়ির শিমুলপাল অঞ্চলের কোটাচুয়া গ্রামের বাসিন্দারা। কোটাচুয়া গ্রাম-সংলগ্ন জঙ্গলে অবস্থান করছে বাঘিনী যমুনা। বাঘকে এই মুহূর্তে নজরবন্দি করে রাখতে ওড়িশা টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট এবং ঝাড়গ্রাম বন দফতরের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে রয়েছেন। গ্রাম জুড়ে মাইকিং করা হয়েছে সন্ধ্যার পরে যেন কেউ বাইরে বের না হন। গ্রামবাসীদের বক্তব্য বাইরে আমরা বেরোব না। বাইরে আগুন জ্বেলে রাখা হবে। কিন্তু গবাদিপশু নিয়ে তাঁরা চিন্তায় আছেন। যদিও ঝাড়গ্রামের ডিএফও জানান, সবরকম সাবধানতা অবলম্বন করা হচ্ছে। 

    ভরা মরসুমে বাঘের জেরে কিছুটা ব্যাহত ঝাড়গ্রাম-বেলপাহাড়ির পর্যটন। বাঘের উদয় সংক্রান্ত বন দফতরের সতর্কবার্তার জেরে অনেকেই এ অঞ্চলে কাটছাঁট করছেন তাঁদের ট্যুর। অনেকেই আবার বেলপাহাড়ি ছেড়ে ঝাড়গ্রামে চলে আসছেন। অনেকে আবার বাঘ দেখতে পাওয়ার আশায় রীতিমতো রোমাঞ্চিত।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)