• বড়দিনের আগে দম ফেলার ফুরসত পাচ্ছেন না মালদহের হোম বেকাররা
    বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মালদহ: মধ্য ডিসেম্বর অতিক্রান্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বড়দিনের প্রস্তুতিতে মেতে উঠেছে আমজনতা। তবে এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ততায় দিন কাটছে মালদহের হোম বেকার বধূদের। ওটিজি হোক বা চিরাচরিত রান্নাঘর, ওই কেক প্রস্তুতকারকরা এখন সকাল থেকে লেগে পড়ছেন ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন আয়তন, ওজন ও উপাদান দিয়ে তৈরি কেক সঠিক সময়ে সরবরাহ করতে। মালদহের পরিচিত বেকারি ও কনফেকশনার্সদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন এই হোম বেকাররা। তাঁদের ধীরে ধীরে আর্থিক স্বনির্ভরতার সন্ধানও দিচ্ছে বাড়িতে বসে এই ব্যবসা।


    মালদহের গঙ্গাবাগ এলাকার অদিতি রায় বললেন, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচারে ক্রেতাদের যথেষ্ট সাড়া মিলছে। বড়দিন যত এগিয়ে আসছে, বাড়ছে কেকের অর্ডারের সংখ্যাও। সারা বছর ক্রিমকেক বা প্যাস্ট্রির অর্ডার বেশি পেলেও বড়দিনে ফ্রুটকেকের চাহিদা যথেষ্ট। আমি ওটিজিতেই কেক তৈরি করি। একেকবারে আট থেকে ন’টি বিভিন্ন ওজনের কেক তৈরি করা সম্ভব। ক্রেতাদের সন্তুষ্টিই আমাদের পুঁজি। সেজন্য গুণমান বজায় রাখার চেষ্টা করি।  ক্রেতারা যেভাবে সাড়া দিচ্ছেন, তাতে আমি সন্তুষ্ট।


    মালদহ শহর থেকে অল্পদূরে নিমাসরাই এলাকার বাসিন্দা গৃহবধূ মোনালিসা দাসও একজন হোম বেকার। তাঁর কথায়, প্রশিক্ষণ নিয়েই কেক তৈরির পেশায় এসেছি। বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে নিজের তৈরি কেকের ছবি দিয়ে থাকি। ক্রেতারা অর্ডার দিলে দেরি না করে কেক বানিয়ে ফেলি। ইদানিং ফ্রুটকেকের চাহিদা বেড়েছে। কেক তৈরির বিভিন্ন উপাদান মালদহের বাজারেই মেলে। গুণগত মান বজায় রেখেও ন্যূনতম ১০০ টাকার মধ্যে ৪০০ গ্রাম ওজনের কেক তৈরি করে সরবরাহ করছি। ধীরে ধীরে কিছুটা হলেও ব্যক্তিগত খরচ জোগার করতে পারছি কেক বিক্রির মাধ্যমে।


    মালদহ শহরের আরও কয়েকজন মহিলা হোম বেকার জানিয়েছেন, তাঁদের কেকের গুণগত মান যে কোনও বড় বেকারি বা প্রখ্যাত ব্র্যান্ডের থেকে কম নয়। বড় কেকের পাশাপাশি পিকনিকের মরশুমে কাপ কেক সরবরাহের অর্ডারও মিলছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
  • Link to this news (বর্তমান)