• চোপড়ায় কোনও সেতুতে নেই পথবাতি, রাতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা
    বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চোপড়া: পথবাতির দাবি উঠতে শুরু করেছে চোপড়ার একাধিক সেতুতে। রাতে দুর্ঘটনা এড়ানোর পাশাপাশি ছিনতাইয়ের ঘটনা রুখতে পথবাতির দাবি জোরালো হচ্ছে। চোপড়া ব্লকের কোনও সেতুতে পথবাতি নেই। রাতে সেতুগুলি অন্ধকারে ঢেকে থাকে। সন্ধ্যার পর ওইসব সেতু দিয়ে যাতায়াতে পথচারীদের সমস্যায় পড়তে হয়। খুঁজালুগছ সেতুর পাশে বাড়ি টোটোচালক সলিমউদ্দিনের। তিনি বলেন, সেতুগুলিতে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর চলাচলে সমস্যা হয়। মাঝেমধ্যে রাতে দুর্ঘটনা ঘটে। আলো না থাকায় রাতে সেতুগুলির উপর মদের আসর বসে যায়। আগে বহুবার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। চোপড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কনিকা ভৌমিক বলেন, সেতুগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করতে চিন্তাভাবনা চলছে।


    মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বেরং সেতু, খুঁজালুগছ সেতু, চুটিয়াখোর গ্রাম পঞ্চায়েতের উদরাইল এলাকায় তিস্তাখাল সেতু, হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল সেতুতে পথবাতি নেই। সদর চোপড়ায় জাতীয় সড়কে ডক নদীর উপরের সেতু থেকে জাতীয় সড়কের ওভারব্রিজ, কালাগছ, তিনমাইল ও সোনাপুর এলাকায় ওভারব্রিজেও পথবাতি নেই। আগেও সেতুগুলিতে আলোর দাবি তুলেছিলেন স্থানীয়রা। কিন্তু প্রশাসন কোনও পদক্ষেপ করেনি। 


    দাসপাড়ার বাসিন্দা রাজু সিংহের কথায়, রাতে আলো না থাকায় সাইকেল আরোহী, পথচারীদের চলতে অসুবিধা হয়। সেতুগুলি অন্ধকারে ঢেকে থাকে। একই বক্তব্য কালাগছের বাসিন্দা রাকেশ রায়েরও। তাঁর প্রশ্ন, লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে সেতু বানানো হলেও আলোর ব্যবস্থা নেই কেন? রাতে চলাফেরা করতে ভীষণ সমস্যা হয়। শীঘ্রই সেতুগুলিতে পথবাতির দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
  • Link to this news (বর্তমান)