• এবার আরপিও অফিস, বাইপাসের তথ্য যাচাই কেন্দ্র লালবাজারের নজরে
    বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাসপোর্ট জালিয়াতি কাণ্ডে এবার লালবাজারের নজরে ব্রাবোর্ন রোডের রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিস (আরপিও)। এখানকার বেশ কয়েকজন অফিসারের ভূমিকা আতস কাঁচের তলায়। সমরেশের হাত ধরে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিরা যে পাসপোর্ট পায়, সেগুলির নথি আরপিও অফিসে যে অফিসাররা  যাচাই করেন, তাঁদের নামের তালিকা কলকাতা গোয়েন্দা পুলিস চেয়ে পাঠিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। 


    অভিযুক্ত সমরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারীরা  জেনেছেন, পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্র থেকে নথি আপলোড করার পর সেগুলি যায় ই এম বাইপাস সংলগ্ন রুবি মোড়ের যাচাই কেন্দ্রে। এখানকার কর্মীদের একাংশকে সমরেশ ম্যানেজ করে রেখেছিল। নথি আসার পর ওই কর্মীরা তাকে ফোন করতেন। ওই কর্মীরা নথি যাচাই না করেই পাঠিয়ে দিতেন আরপিও অফিসে। তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই অফিসে আধার বা অন্য নথি আসল কি না, যাচাইয়ের জন্য মেশিন রয়েছে। যেখান থেকেই জেনে নেওয়া সম্ভব, এই নথি জাল কিনা।  অন্যদের  নথি সেখানে খুঁটিয়ে যাচাই করা হলেও, সমরেশের পাঠানো নথিগুলির ক্ষেত্রে সেটি করা হতো না। একইসঙ্গে পোস্ট অফিসে থাকা পাসপোর্ট সেবা কেন্দ্রে প্যান কার্ড পরীক্ষার জন্য আলাদা সফ্টওয়্যার আছে। সেখানে কার্ডের নম্বর দিলেই নথি আসল  কি না, তা জানা সম্ভব। সেবা কেন্দ্রে থাকা কর্মীদের একাংশকে ম্যানেজ করে রাখায় সেটিও  যাচাই হয়নি। তবে তদন্তকারীদের আশ্চর্য করেছে আরপিও অফিসের কর্মীদের একাংশের ভূমিকা। তদন্তে জানা গিয়েছে এখানকার বেশ কিছু বড় অফিসারের সঙ্গে ওঠাবসা ছিল সমরেশের।  আবেদন  জমা পড়ার পরে তার নথির ফটোকপি আরপিও অফিসে নিয়ে হাজির হতো চক্রের অন্যতম মাথা সমরেশ। সেগুলি ওই অফিসারদের দিয়ে দিত। যাতে নথি আরপিও অফিসে এলে সেখান থেকে বুঝে নিতে সুবিধা হয়, নির্দিষ্ট করো কোনগুলি সমরেশের। নথি স্ক্যান না করেই সমস্ত ঠিক আছে বলে সই ও স্টাম্প মেরে দিতেন। এর বিনিময়ে তাঁরা বিভিন্ন রকম সুবিধা নিতেন অভিযুক্তের কাছ থেকে, এমনটাই জানা যাচ্ছে। বিগত পাঁচ বছরে সমরেশের হাতে  যে পাসপোর্টগুলি এসেছে সেগুলির নম্বর পেয়েছেন তদন্তকারীরা। তার তালিকা আরপিও অফিসে পাঠিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট অফিসাররা নথি যাচাই না করে কীভাবে তা ছেড়ে দিলেন! তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হবে বলে খবর।
  • Link to this news (বর্তমান)