নাবালিকাকে যৌন হেনস্তার দায়ে ৭ বছরের কারাদণ্ড পড়শি দাদুর
বর্তমান | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: সুসম্পর্কের সুযোগে ফাঁকা মাঠে সাত বছরের নাবালিকাকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন। এজন্য পড়শি দাদুকে সাজা দিল বারাসতের বিশেষ পকসো আদালত। বিচারক সুস্মিতা মুখোপাধ্যায় শনিবার দোষী মাধব দাসকে (৬২) সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। অনাদায়ে অতিরিক্ত ছ’মাস কারাদণ্ড। ঘটনাটি ঘটে ২০১৯ সালের মে মাসে, মধ্যমগ্রাম শহরে। জানা গিয়েছে, মাধবকে দাদু বলেই ডাকত নির্যাতিতা নাবালিকা। এই সুসম্পর্কের সুযোগ নিয়ে পড়শি মাধব ২০১৯ সালের ২৮ মে ফাঁকা মাঠে বছর সাতের ওই শিশুকে নিয়ে গিয়ে যৌন হেনস্তা করেন। তখনই শিশুটির শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয়। প্রথমে সে তাঁর এক সহপাঠীকে গোটা বিষয়টি জানায়। তারপর বাড়ি ফিরে অসুস্থতার কথা জানিয়ে প্রতিবেশী ‘দাদুর’ কুকীর্তির কথা জানায় মাকে। ২৯ মে এনিয়ে মধ্যমগ্রাম থানায় অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এরপরই মাধব দাসকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে দীর্ঘ সাড়ে পাঁচ বছরের বেশি সময় মামলা চলে। এরপর শুক্রবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বারাসতের বিশেষ পকসো আদালত। এদিন দোষীর সাজা ঘোষণা করেন বিচারক সুস্মিতা মুখোপাধ্যায়।
এই মামলার সরকারি আইনজীবী গৌতম সরকার বলেন, ঘটনার সময় ওই নাবালিকার বয়স ছিল মাত্র সাড়ে সাত বছর। সন্ধ্যায় খেলার সময় পড়শি দাদু মাধব তাকে শারীরিকভাবে হেনস্তা করে। বিষয়টি কাউকে না জানাতে শাসানিও দেয় সে। এতদিন মামলা চলার পর শনিবার সাজা ঘোষণা হল। দোষীর সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড সহ ২৫ হাজার টাকা জরিমানা হয়েছে। অনাদায়ে অতিরিক্ত ছ’মাস কারাদণ্ড। আইন মেনে ক্ষতিপূরণও পাবে নির্যাতিতা।