• মেজিয়া থেকে বাঁকুড়া রেলপথ রানিগঞ্জের সঙ্গে জোড়ার দাবি
    এই সময় | ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • এই সময়, আসানসোল: রানিগঞ্জ স্টেশন থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের দাবি জানাল বণিকসভা এবং সামাজিক সংগঠন বাঁকুড়া মৈত্রী সঙ্ঘের প্রতিনিধিরা। তাঁদের দাবি, রানিগঞ্জ থেকে দামোদরের উপর দিয়ে মেজিয়া পর্যন্ত রেললাইন তৈরি। এ বার মেজিয়া থেকে বাঁকুড়া রেলযোগ তৈরি হলে মানুষ সহজেই এক জেলা থেকে পৌঁছে যেতে পারবেন ভিন জেলায়।

    রানিগঞ্জ–মেজিয়া লাইনে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য নিয়মিত কয়লার ওয়াগন যাতায়াত করে। ফলে ওই লাইন সচল রয়েছে। অন্য দিকে, বর্তমানে রানিগঞ্জ থেকে বাঁকুড়া সদর পর্যন্ত ৫২ কিমি পথে যোগাযোগ বলতে একমাত্র বাস। কিন্তু সেই বাসও প্রয়োজনের সময়ে মেলে না।

    ফলে বহু মানুষকেই দুর্গাপুর হয়ে বাস কিম্বা আসানসোল থেকে ট্রেনে যেতে হয় বাঁকুড়ায়। রেলপথে আসানসোল থেকে বাঁকুড়ার দূরত্ব ৯৪ কিমি। এই সমস্যা মেটাতে রানিগঞ্জ, আসানসোল ও পার্শ্ববর্তী বীরভূমের বাসিন্দাদের দাবি, মেজিয়া থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত মাত্র ৩০ কিমি রেলপথের সম্প্রসারণ ঘটালে সরাসরি পৌঁছে যাওয়া যাবে বাঁকুড়া সদরে। রেল লাইনের এই সম্প্রসারণে আসানসোল, জামুড়িয়া, রূপনারায়ণপুর, চিত্তরঞ্জন এবং বীরভূমের সঙ্গে সহজেই যোগসূত্র তৈরি হবে বাঁকুড়ার।

    বীরভূম এবং রানিগঞ্জের বহু রোগীকে চিকিৎসার জন্য নিয়মিত যেতে হয় বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে। আসানসোল থেকে রেলে বাঁকুড়ায় পৌঁছতে ওই সব রোগী বা তাঁদের পরিজনকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হয়।

    রেল লাইনের দাবি তোলা বাঁকুড়া মৈত্রী সঙ্ঘের কর্মকর্তা বাসুদেব মণ্ডল বলেন, ‘মেজিয়া থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত লাইনটিকে যুক্ত করলে কয়েক হাজার মানুষের উপকার হবে। বর্তমানে বিকেলের দিকে রানিগঞ্জ থেকে বাঁকুড়ায় যাওয়ার কোনও বাস নেই। আমরা এ বিষয়ে বাঁকুড়া এবং পশ্চিম বর্ধমানের রাজনৈতিক নেতাদের কাছে আবেদন করেছি।’

    এ প্রসঙ্গে বিশিষ্ট অধ্যাপক এবং সাহিত্যিক শীতল গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘অবশ্যই এই দুই জেলা থেকে নির্বাচিত সাংসদদের এই বিষয়ে রেলমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা উচিত। এ ক্ষেত্রে উদ্যোগ নিলে বহু মানুষ লাভবান হবে। খনি অঞ্চলের অসুস্থ মানুষ সহজেই বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসার জন্য যেতে পারবেন।’

    অন্য দিকে, বাঁকুড়া–বিষ্ণুপুরের সঙ্গে পশ্চিম বর্ধমানের ব্যবসা ও শিল্পের যোগ বাড়াতে আরও ৩০ কিমি রেল লাইনের সম্প্রসারণের দাবি জানিয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে চিঠি লিখেছেন রানিগঞ্জ বণিকসভার অন্যতম উপদেষ্টা রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান। তিনি বলেন, ‘রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রানিগঞ্জ থেকে এই রেলপথের পরিকল্পনা নিয়েছিলেন।তিনি মন্ত্রক ছেড়ে চলে যাওয়ায় এই কাজ আর এগোইনি।’

    আসানসোল পুরসভার প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিও জানিয়েছেন, এই রেলপথ নিয়ে তিনিও রেল মন্ত্রকে চিঠি লিখেছেন। আসানসোল দক্ষিণের বিধায়িক অগ্নিমিত্রা পল বলছেন, ‘আমিও রেলমন্ত্রীকে বিষয়টি নিয়ে বলব।’ রেলের তরফে এক আধিকারিক বলেন, ‘রেলবোর্ড থেকে ফিজ়িবিলিটি রিপোর্ট চেয়ে পাঠালে অবশ্যই আমরা তা পাঠাব।’

  • Link to this news (এই সময়)