জেএমবি জঙ্গি সন্দেহে মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ার থেকে আব্বাস আলি ও মিনারুল শেখকে দু’দিন আগেই গ্রেপ্তার করেছিল এসটিএফ। জাল বিছিয়ে ছিলেন তদন্তকারীরা। রবিবার এসটিএফের জালে ধরা পড়ল আরও এক জঙ্গি সংগঠনের সদস্য জাভেদ মুন্সি। কে এই জাভেদ? জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে কতদিন ধরে যুক্ত? তদন্তকারীদের হাতে থাকা জাভেদের ‘রিপোর্ট কার্ড’-এ রয়েছে চমকে দেওয়ার মতো তথ্য।
১৯৯০ সালে কাশ্মীরে মাথাচাড়া দেয় একটি নতুন জঙ্গি সংগঠন। নাম তেহরিক-উল-মুজাহিদিন। লক্ষ্য ছিল ‘কাশ্মীরের স্বাধীনতা’। শুরু হয় একের পর এক সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ। গ্রেনেড হামলা থেকে শুরু করে অস্ত্র ছিনতাই ও হিজবুল মুজাহিদিন ও লস্কর-ই-তৈবার মতো জঙ্গি সংগঠনগুলিকে সহায়তা, কী নেই সেই তালিকায়! ২০১৯ সালে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য ছিল জাভেদ।
সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে হাত পাকানোর জন্য সংগঠনের সদস্যদের পাকিস্তানে পাঠাত তেহরিক-উল-মুজাহিদিন। পাকিস্তানে পাঠানো হয়েছিল জাভেদকেও। সেখানেই অস্ত্র চালনার প্রশিক্ষণ নেয় জাভেদ। প্রথম ধাপ পেরনোর পর শুরু হয় ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) পরিচালনা সংক্ৰান্ত ট্রেনিং। বর্তমানে আইইডি এক্সপার্ট সে।
প্রশিক্ষণ শেষ হওয়ার পরেই একের পর এক জঙ্গি কার্যকলাপে নেমে পড়ে জাভেদ। এসটিএফ সূত্রে খবর, ২০১১ সালে আহল-ই-হাদিসের নেতা শওকত শাহের হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিল সে। সন্ত্রাসমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে একাধিকবার হাজতেও কাটাতে হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় নাম ওঠে জাভেদের। জেরায় জাভেদ স্বীকার করেছে জাল পাকিস্তানি পাসপোর্ট চক্রের নির্দেশে একাধিকবার বাংলাদেশ, নেপালেও যেতে হয়েছে জাভেদকে। এ বার লস্কর-ই-তৈবার সদস্যেদের নির্দেশে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের জন্য ক্যানিং-এ এসেছিল জাভেদ। সম্প্রতি কী কোনও জঙ্গি কার্যকলাপ করার প্ল্যান ছকা হয়েছিল? কী কারণে বাংলাদেশ যেতে চলছিল জাভেদ? ঘেঁটে দেখেছেন তদন্তকারীরা।
তথ্য সহায়তা: অর্পিতা হাজরা