এ বার জঙ্গি সন্দেহে ক্যানিং থেকে গ্রেপ্তার হলো জাভেদ মুন্সি নামে এক ব্যক্তি। শনিবার জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ এবং জেলা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। পুলিশের অনুমান, জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-উল-মুজাহিদিনের সদস্য সে। ক্যানিং হাসপাতাল মোড়ে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জাভেদকে। সম্পর্কে তাঁরা জাভেদের আত্মীয় বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। যদিও সে বিষয়ে এখনই নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। এ দিন তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হবে। কোন উদ্দেশ্যে সে কলকাতায় এসেছিল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে রাজ্যে পর পর সন্দেহভাজন জঙ্গি গ্রেপ্তারের ঘটনায় উদ্বেগ বেড়েছে।
সূত্রের খবর, কাশ্মীরের শ্রীনগরে তানপুরাতে বাড়ি জাভেদের। জাভেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য, জঙ্গি সংগঠন আল কায়দার একটি শাখা আনসার-উল্লাহের একটি দল দেশে নাশকতার ছক কষছিল বলে তথ্য পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গত ১০ ডিসেম্বর অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ১৭ এবং ১৮ ডিসেম্বর অসম, কেরালা, পশ্চিমবঙ্গে অভিযান চালায়। মোট ৮ জন সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে বাংলার মুর্শিদাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২ জনকে। ধৃতদের থেকে বহু নিষিদ্ধ বই, উস্কানিমূলক নথি পাওয়া গিয়েছে বলে সূত্রের খবর। সন্দেহভাজন ওই জঙ্গিদের সঙ্গে জাভেদের কোনওরকম লিঙ্ক রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।
প্রসঙ্গত, এ রাজ্যের ভোটার তালিকাতেও নাম তুলে ফেলেছিল বাংলাদেশি জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’-এর সদস্য মহম্মদ শাদ রাডি ওরফে শাবের।মুর্শিদাবাদের কান্দি এবং হরিহরপাড়া এই দুই বিধানসভা কেন্দ্রের তালিকাতেই নাম রয়েছে শাহের। প্রথমে তার নাম একটিতে তুলে পরে অন্য কেন্দ্রে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের। হরিহরপাড়া থেকে শাবের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত মিনারুল শেখ এবং মহম্মদ আব্বাস আলিকে গ্রেপ্তার করেছিল অসম পুলিশ। তারাই শাবের নাম ভোটার তালিকায় তোলার নেপথ্যে রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দাদের দাবি, এরা মূলত ভারতে সংগঠন বিস্তার ও রাজ্যের সঙ্গে উত্তর-পূর্বের সংযোগকারী ‘চিকেন’স নেক’-এ নাশকতার পরিকল্পনা নিচ্ছিল।