কিরণ মান্না: মন্দারমণিতে (Mandarmoni) হোটেল থেকে উদ্ধার উত্তর ২৪ পরগনার(North 24 Parganas) আমডাঙার তৃণমূল নেতার(TMC) ঝুলন্ত দেহ। কীভাবে মৃত্যু? বান্ধবী ও প্রতিবেশী যুবককে গ্রেফতার করল পুলিস। ধৃতদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
পুলিস সূত্রে খবর, মৃত তৃণমূল নেতা নাম আবুল নাসার। বাড়ি, আমডাঙার আধহাঁটা পঞ্চায়েতের কাছারিয়া গ্রামে। স্ত্রী সুমাইয়া পারভিন আধহাঁটা পঞ্চায়েতেরই উপপ্রধান। গত বৃহস্পতিবার মন্দারমণিতে যান আবুল। সঙ্গে ছিলেন বান্ধবী তনুশ্রী মুখোপাধ্য়ায়, প্রতিবেশী যুবক আতাউর মন্ডল ও আরও এক বান্ধবী। অসুস্থ হয়ে পড়ায় শুক্রবার অবশ্য বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে।
হোটেলে একই ঘরে ছিলেন আবুল ও তনুশ্রী। শনিবার ভোররাতে বাথরুমে গিয়েছিলেন আবুলের বান্ধবী। বাথরুম থেকে বেরোন, তখন ওই তৃণমূল নেতার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। এরপর থানায় খবর দেন তিনি নিজেই। মৃতদেহটি উদ্ধার করে পুলিস। বস্তুত, ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে দেহের ময়নাতদন্তও হয়ে গিয়েছে তমলুক হাসপাতালে। কবে? আজ, রবিবার।
তদন্তে জানা গিয়েছে, তনুশ্রীর বাড়ি ব্য়ারাকপুরে (Barrackpore)। প্রায় ৬ বছর আবুলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল ওই মহিলার। কাঁথির আদালতে আইনজীবী ইকবাল হোসেন জানিয়েছেন, দু'জনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। যখনই কোথাও বেড়াতে যেতেন, তনুশ্রীকেও সঙ্গে নিয়ে যেতেন আবুল। হোটেলে একই ঘরে থাকতেনও। সম্প্রতি এই নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা চলছিল ওই তৃণমূল নেতার। আবুল বিবাহিত হলেও, তনুশ্রী কিন্তু বিয়ে করেননি।
গতকাল, শনিবার রাতেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত তৃণমূল নেতার পরিবারের লোকেরা। সেই অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্তে নামে পুলিস। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তনুশ্রী ও আতাউর। পুলিস সুত্রে খবর, কথাবার্তা অসঙ্গতি থাকায়, শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় দু'জনকেই।