‘বাংলার আবাস’ প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকতে শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই অনেক উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেই টাকা ঢুকে গিয়েছে। আর টাকা ঢুকতেই কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ জেলার সুতিতে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বিরুদ্ধে বাড়িতে গিয়ে কাটমানি চাওয়ার অভিযোগ উঠল। সুতি-২ ব্লকের কাশিমনগর গাজিপুর ৪৯ নম্বর বুথের ঘটনা। ‘কাটমানি’ শব্দে আপত্তি তৃণমূলের বুথ সভাপতি নীলিমা দাসের। তবে মেনে নিয়েছেন, উপভোক্তার কাছে গিয়ে টাকার দাবি করেছেন। ঘটনা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
চলতি সপ্তাহেই নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা আবাস প্রকল্পের সূচনা করেন। জানিয়ে দেন, বাংলার বাড়ি (গ্রামীণ) প্রকল্পে রাজ্যের মোট ১২ লক্ষ যোগ্য পরিবারকে বাড়ি তৈরির জন্য প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হচ্ছে। অনেকের অ্যাকাউন্টেই ইতিমধ্যে সেই টাকা পড়ে গিয়েছে।
সম্প্রতি ওই বুথ সভাপতির একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে (যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি এই সময় অনলাইন )। দেখা যায়, এলাকায় চিনু বিবি নামে এক মহিলার বাড়িতে গিয়ে টাকা চাইছেন তিনি। বাড়ির লোকজন পাল্টা বলছেন, ‘সকলে এসে টাকা চাইলে কী করে চলবে? এই ভিডিয়ো নিয়ে শুরু হয় তোলপাড়।’
চিনু বিবি বলেন, ‘এসে বলছে টাকা দাও। কারও কাছে ৫ হাজার টাকা চাইছে, কারও কাছে ২০ হাজার চাইছে। বাড়ির টাকা ঢুকেছে। তার জন্যই বোধহয় এসেছে। কেন টাকা জিজ্ঞাসা করায় বলছে, এটা আবদার।’
এ প্রসঙ্গে নীলিমা দাসকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর জবাব, ‘আমি তো অত জানি না। একেবারেই নতুন এসেছি। তাই একটু দাবি করেছিলাম। ভুল বশত এটা করে ফেলেছি। আর হবে না।’ কিন্তু তাঁকে কে পাঠাল? বুথ সভাপতি এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি। এড়িয়ে যান সে প্রশ্ন।
তবে ইতিমধ্যেই এ নিয়ে রাজনীতির রং লাগতে শুরু করেছে। জঙ্গিপুর মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি আলফাজ উদ্দিন বিশ্বাসের খোঁচা, ‘চোর ধরা পড়লে কি সর্দারের নাম নেবে? নীলিমা দাসও তাই করেছেন।' সুতি-২ ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী অবশ্য জানান, এ রকম কোনও লিখিত অভিযোগ তাঁর কাছে আসেনি। তবে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সুতি-২ ব্লক সভাপতি লতিফুর রহমান বলেন, ‘বিষয়টা আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি। এ রকম ঘটনা ঘটলে তা কখনওই কাম্য নয়।’