গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কের অন্যতম আকর্ষণ হল হরিণ। এই মুহূর্তে হরিণের সংখ্যা অনেকটাই বেড়েছে এখানে। ফলে তাদের খাবারের চাহিদা মেটাতে বিশেষ উদ্যোগী কর্তৃপক্ষ। এই জুলজিক্যাল পার্কের ভিতরেই প্রচুর পরিমাণে ঘাস লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত বছরও ঘাস লাগানো হয়েছিল। তবে এ বার অনেক বেশি জায়গা জুড়ে দেখা যাবে সবুজের গালিচা।
কলকাতা সংলগ্ন ডে আউটিংয়ের সেরা ঠিকানাগুলির মধ্যে অন্যতম হাওড়ার শ্যামপুরের গড়চুমুক। এখানে এক সঙ্গে অনেক কিছু দেখার সুযোগ রয়েছে। গড়চুমুক পর্যটন কেন্দ্রে পিকনিক করতে যান অনেকেই। এমনিও সারাদিন ঘুরে বেড়াতে পারেন এই এখানে। সামনেই হুগলি ও দামোদরের সৌন্দর্য একসঙ্গে। আবার গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কও খুব দূরে নয়। একদিনে এত কিছু দেখার সুযোগ থাকায়, শীতকাল জুড়ে উলুবেড়িয়ার শ্যামপুরের গড়চুমুক পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা।
সূত্রের খবর, গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কের ভিতরে প্রায় এক একর জায়গা জুড়ে ৬ থেকে ৭ প্রকারের ঘাস লাগানো হয়েছে। প্রাকৃতিক খাদ্য অভ্যাসকে ফিরিয়ে আনতেই এই উদ্যোগ। আগে এর নাম ছিল ‘মৃগদাব’। পরে নাম বদলে জুলজিক্যাল পার্ক হয়।
প্রায় ১০০ ধরনের পশু-পাখি আছে এখানে। হরিণ ছাড়াও নানা ধরনের সরীসৃপ থেকে শুরু করে পাখির বাহারিয়ানা মন কাড়ে। হরিণের পাশাপাশি বনবিড়াল, মেছো বিড়াল, এমু, ম্যাকাও, মূয়র, নীলগাই, কুমির, ইগুয়ানা, কচ্ছপ, পাইথন আছে। রয়েছে ৫০টি প্রজাতির পাখি। পরিকল্পনা রয়েছে বাঘ আনারও।
তবে এতো কিছুর মধ্যেও এখানকার হরিণ কিন্তু আলাদা করে উল্লেখের দাবি রাখে। এখানে ১০০-এর বেশি হরিণ রয়েছে। ফলে তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবারের ব্যবস্থা দরকার। সেদিকে খেয়াল রেখেই এখানে ঘাস লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
গড়চুমুক জুলজিক্যাল পার্কের রেঞ্জার তাপস দেব জানান, মূলত হরিণদের খাবারের জন্য প্রতি বছরই ঘাস বসানো হয়। তবে এ বছর নতুন পরিকল্পনা করে অনেক বেশি জায়গায় ঘাস বসানো হয়েছে। ঘাস বড় হলে চিড়িয়াখানার কর্মীরাই সেই ঘাস কেটে হরিণদের দেবেন। তিনি জানান, জঙ্গলে হরিণরা একেবারেই প্রাকৃতিক ভাবে খাবার খেয়ে থাকে। সেই প্রাকৃতিক পরিবেশ ফেরাতেই এই উদ্যোগ।