• অসম এসটিএফ-এর হাতে কেরল থেকে ধৃত জঙ্গি হরিহরপাড়ার বাসিন্দা, রয়েছে ভোটার তালিকায় নামও...
    আজকাল | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন 'আনসারুল্লা বাংলা'-র সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বুধবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকা থেকে অসম পুলিশের এসটিএফ, পশ্চিমবঙ্গ এসটিএফ এবং স্থানীয় পুলিশের সহযোগিতায় আব্বাস আলি এবং মিনারুল শেখ নামে দুই জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করে। এর পাশাপাশি অসম পুলিশ দেশের অন্যান্য কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে মোট আট জন জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে কেরল থেকে মহম্মদ সাব শেখ নামে এক জঙ্গিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, মহম্মদের বাড়িও মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানা এলাকায়। ভোটার তালিকাতেও নাম রয়েছে মহম্মদের। শনিবার মহম্মদের বাড়িতে যায় হরিহরপাড়া থানার পুলিশ। তাঁর পরিবারের লোকেদের জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। 

    সূত্রের খবর, 'আনসারুল্লা বাংলা'-র সদস্য সাব ১০ বছর আগে অবৈধভাবে ভারতে চলে আসেন এবং হরিহরপাড়ার খিদিরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেদারতলা গ্রামে তাঁর আত্মীয়দের বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। সম্প্রতি কেরলে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে গিয়েছিলেন। এরই পাশাপাশি চলছিল গোপনে জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বাড়ানোর কাজ।  যদিও পরিবারে দাবি, মহম্মদকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। তাঁর জামিনের জন্য পরিবার লড়াই করবে। ধৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁর বাবা বহু বছর আগে ভারত ছেড়ে বাংলাদেশের রাজশাহীতে চলে যান এবং সেখানেই বিয়ে করেন। মহম্মদের জন্ম বাংলাদেশেই। বছর দশেক আগে তাঁর ঠাকুমা মারা যাওয়ার পর বেআইনিভাবে হরিহরপাড়াতে চলে আসেন এবং সেখানেই থাকতে শুরু করেন।

    তাঁর বোন হাসিনা খাতুন বলেন, "কোনও কাগজপত্র ছাড়াই ১০ বছর আগে দাদা ভারতে চলে আসে এবং এখানে থাকতে শুরু করে। বেশ কয়েক বছর হরিহরপাড়াতে থাকার পর নওদা থানার পিঁপড়েখালিতে পিসির বাড়িতে চলে যায়।" তিনি আরও বলেন, "সেখানে বোরখা-হিজাব তৈরির একটি দোকান দেয় দাদা। কিন্তু সেই ব্যবসা ভাল না চলায় দোকান বন্ধ করে ছাগলের ফার্ম তৈরি করেছিল। কিন্তু সেটিও না চলায় কেরলে রাজমিস্ত্রির কাজ করার জন্য চলে যায়।" মহম্মদের বোন জানিয়েছেন, কয়েক বছর আগে স্থানীয় কয়েকজনকে ধরে ভারতীয় ভোটার কার্ড, আধার এবং প্যান কার্ড-সহ যাবতীয় নথি তৈরি করেছিল দাদা। হাসিনার দাবি, তাঁর দাদা কোনও কোনও জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে জড়িত নেই। তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। দাদার জামিনের জন্য তাঁর পরিবার সব রকম চেষ্টা করবে বলে জানিয়েছেন হাসিনা।
  • Link to this news (আজকাল)