সংবাদদাতা, দুর্গাপুর: দুর্গাপুর-ফরিদপুর ব্লকের গৌরবাজার ইকো পার্কের বেহাল দশা। শিশুদের খেলার সরঞ্জাম ভেঙে গিয়েছে। ঝোপঝাড়ে ভরে গিয়েছে পার্কটি। প্রশাসনের নজরদারির অভাবেই এই পরিস্থিতি বলে অভিযোগ। এলাকার বাসিন্দারা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে খেলার সরঞ্জাম মেরামতির দাবি তুলেছেন। গৌরবাজার পঞ্চায়েতের প্রধান হাঁসু সৌ দত্ত বলেন, এলাকাবাসীর মনোরঞ্জনের জন্যই পার্কটি তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু বাসিন্দাদের একাংশ খেলার সরঞ্জাম ও তৈরি করা হাতি-ঘোড়া ভেঙে নষ্ট করছেন। পার্কটি ঠিক রাখতে এলাকার বাসিন্দাদেরও সচেতন হতে হবে। আমরা পঞ্চায়েত থেকে অবশ্যই পরিষ্কার রাখব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূম জেলার সীমানা এলাকায় রয়েছে গৌরবাজার গ্রাম। ওই গ্রামের গুঠুলিয়া এলাকায় অজয় নদের ধারে সুন্দর পরিবেশে পার্কটি রয়েছে। ২০১৭-’১৮ অর্থবর্ষে পার্কটি তৈরি করা হয়েছিল। পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ১০০দিনের কাজে পার্কটি গড়া হয়। আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ(এডিডিএ) প্রায় ৭ লক্ষ ২৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছিল। পার্কে প্রায় ১০টি বড় আকারের হাতি ও ঘোড়া সহ নানান পশুর মূর্তি রয়েছে। প্রায় ২০ ফুট উচ্চতার কংক্রিটের একটি শিব ঠাকুরের মূর্তিও রয়েছে। শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য কংক্রিটের স্লিপার রয়েছে। এছাড়া পার্কের মধ্যেই দীর্ঘদিনের কালী মন্দির রয়েছে। পার্কটির পাশ দিয়ে নদের উপর অস্থায়ী সেতু হয়ে বীরভূমে যাতায়াতের রাস্তা থাকায় বহু মানুষের আনাগোনা লেগেই থাকে। পার্কটি তৈরির পর থেকে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু কয়েক বছর পর ধরে ঝোপঝাড়ে ভরে ওঠে। নজরদারির অভাবে ভগ্নদশায় পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয় বাসিন্দা সাহেব লাইক ও অনিল পাল বলেন, আমরা পার্কটি রক্ষা করতে চাই। আমরা নিজেরা পরিশ্রম করে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। শিবমূর্তিটির একটা হাত ভেঙে গিয়েছিল। আমরা কয়েকজন যুবক মিলে সংস্কার করেছি। হাতি-ঘোড়ার মূর্তিগুলিও অযত্নে নষ্ট হচ্ছে। পার্কটি আগের চেহারায় ফেরালে এলাকার বাসিন্দা সহ সকলে উপকৃত হতেন। পার্কটি সৌন্দর্যায়নে পদক্ষেপ নিক প্রশাসন।-নিজস্ব চিত্র