সংবাদদাতা, রামপুরহাট: রামপুরহাটে জাতীয় সড়কের ধারে ফের প্রচুর পরিমাণে ওষুধ পড়ে থাকতে দেখা গেল। যার মধ্যে রয়েছে জীবনদায়ী ইঞ্জেকশনও। ওষুধগুলি মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে নিয়ম মেনে সেগুলি নষ্ট না করার কথা। কিন্তু যত্রতত্র ফেলে দেওয়া উচিত নয়। এই ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন এলাকার মানুষ। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছে পুলিস। রবিবার সকালে রানিগঞ্জ মোড়গ্রাম ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে প্রচুর পরিমাণে ওষুধ পড়ে থাকতে দেখেন পথচারীরা। যেগুলির অধিকাংশ ২০২০ ও ২১ সালে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। কিছু ওষুধ চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মেয়াদ ফুরিয়েছে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই মুহূর্তে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা মুক্তা শেখ বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি এক যুবক দু’টি ব্যাগে করে সড়কের ধারে কিছু ফেলছে। ওকে বারণ করি। সন্দেহ হওয়ায় কাছে গিয়ে দেখি প্রচুর ওষুধ ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থলের কাছাকাছি রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, প্রচুর নার্সিংহোম ও ওষুধের দোকান রয়েছে। ওষুধগুলির গায়ে ‘এমআরপি’ রয়েছে। ফলে সরকারি ওষুধ নয় এব্যাপারে কার্যত নিশ্চিত হয়ে যান স্থানীয়রা। এব্যাপারে রামপুরহাট স্বাস্থ্যজেলার ডেপুটি সিএমওএইচ-১ অমিতাভ সাহা বলেন, সরকারি হোক বা বেসরকারি, স্বাস্থ্যদপ্তরের নিয়মানুযায়ী ওষুধপত্র যত্রতত্র ফেলা যায় না। রেজিস্টারে নথিভুক্ত করে অথরিটিকে জানাতে হয়। এক্ষেত্রে নিয়ম মানা হয়নি বলে মনে করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। অন্যদিকে কে বা কারা এত পরিমাণ ওষুধ ফেলে দিয়ে গিয়েছে তা জানতে ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিস।