সংবাদদাতা, কাটোয়া: রবিবার ছুটির দিনের দুপুরে বেপোরোয়াভাবে চারচাকা চালিয়ে আসছিলেন এক বধূ। সেটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কাটোয়া বাসস্ট্যান্ডে একটি মিষ্টির দোকানে ঢুকে পড়ে। দোকানে ফুটন্ত তেলের কড়াই উল্টে এক কিশোর সহ দু’জনের শরীরের একাংশ পুড়ে যায়। তড়িঘড়ি তাঁদের গুরুতর জখম অবস্থায় কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় মিষ্টির দোকানের সিঙারা, কচুরি, রসগোল্লা সব দলা পাকিয়ে যায়। শোকেস তুবড়ে যায়। পুলিস গাড়িটিকে আটক করেছে। ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বেপোরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়ে এমন ঘটনা ঘটায় গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া উচিত পুলিসের। এদিন আরও ভয়াবহ ঘটনা ঘটে যেতে পারত।এদিন দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ কাটোয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। শহরের এক ফ্লেক্স ব্যবসায়ী তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে গতকাল কেনা নতুন গাড়িতে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন। স্থানীয়দের দাবি, গাড়ির স্টিয়ারিং নাকি ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রীর হাতে ছিল। আচমকা বেপোরোয়াভাবে গাড়িটি বাসস্ট্যান্ডের মুখে একটি মিষ্টির দোকানে ঢুকে পড়ে। তখন কচুরি ভাজছিলেন কর্মী নীলকুমার দাস। তাঁর দু’হাতে গরম তেল পড়ে যায়। আর দোকানে কচুরি কিনবে বলে দাঁড়িয়ে ছিল দীপ হাজরা নামে এক কিশোর। তারও হাত পুড়ে যায়। তার মাথাও ফেটেছে। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতাল নিয়ে যায়। কাটোয়া থানার পুলিস গাড়িটিকে আটক করে। এদিন হাসপাতালে শুয়ে জখম নীলকুমার দাস বলেন, আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই দ্রুত গতিতে গাড়িটি আমাদের দোকানে ঢুকে পড়ে। কড়াইয়ের ফুটন্ত তেল আমার দু’হাতে পড়ে যায়। গাড়িটি ওই মহিলা চালাচ্ছিলেন। তাঁর ব্যবসায়ী স্বামীকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি কিছু বলতে চাননি। মিষ্টির দোকানের মালিক বামা ঘোষ বলেন, আমার দোকানের সবকিছু ভেঙে গিয়েছে। মিষ্টি, কচুরি, সিঙারা সহ অন্যান্য খাবারের জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে গিয়েছে।-নিজস্ব চিত্র