বিষ্ণুপুরের তিন বিধানসভায় সদস্য সংগ্রহের টার্গেট নিয়ে চাপে বিজেপি
বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুর: বিষ্ণুপুর লোকসভার তিন বিধানসভা এলাকায় সদস্য সংগ্রহে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বিজেপি। টার্গেট পূরণ নিয়ে চিন্তায় দলের নেতারা। শুক্রবার সদস্য সংগ্রহ অভিযান নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব বিষ্ণুপুরে দলের পার্টি অফিসে বৈঠকে বসে। সেখানে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অমরনাথ শাখা সহ দলের অন্যান্য বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে এলাকা ধরে ধরে সদস্য সংগ্রহের সংখ্যা বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। গত বছরের তুলনায় সদস্য সংগ্রহের পরিমাণ বাড়লেও কয়েকটি বিধানসভা এলাকায় টার্গেটের ধারে কাছে পৌঁছনো নিয়ে তাঁরা সংশয় প্রকাশ করেন। বিশেষ করে কোতুলপুর, ইন্দাস ও বিষ্ণুপুরে সদস্য সংগ্রহের পরিমাণ নগন্য বলে মন্তব্য করেন। ওই তিন বিধানসভা এলাকার কার্যকর্তাদের এনিয়ে আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন, বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর ও ইন্দাসে সদস্য সংগ্রহের পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে। কোতুলপুর ও ইন্দাসে শাসক দল পঞ্চায়েত ভোট করাতে দেয়নি। সন্ত্রাসের বাতাবরণ রয়েছে। বিরোধী দলের সঙ্গে এলে শাসক চলের রোষের মুখে পড়তে হবে। সেই আতঙ্কে অনেকেই প্রকাশ্যে আসছেন না। স্বাভাবিক কারণেই সেখানে সদস্য সংগ্রহের হার তুলনামূলক কম। তবে সাংগঠনিক জেলায় সার্বিকভাবে সদস্য সংগ্রহের হার ভালো।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত এক মাস ধরে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। তাতে এখনও পর্যন্ত বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় সাড়ে পাঁচ হাজার, ইন্দাসে সাড়ে ছ’হাজার এবং কোতুলপুরে মাত্র চারহাজার সদস্যপদ পূরণ হয়েছে। তবে সোনামুখী, বড়জোড়া এবং ওন্দা বিধানসভা এলাকায় গড়ে সাড়ে ১১হাজার সদস্য হয়েছে। শনিবার বিষ্ণুপুরে ওই সংক্রান্ত বৈঠকে কার্যকর্তাদের আরও সক্রিয় হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বিশেষ করে বিষ্ণুপুর, কোতুলপুর ও ইন্দাসে সদস্যপদ পূরণে লক্ষমাত্রায় পৌঁছনো নিয়ে নেতারা উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাঁরা কার্যকর্তাদের একাংশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন। যদিও রাজনৈতিকমহলের একাংশ মনে করছে, কোতুলপুরের বিধায়ক হরকালী প্রতিহারের নেতৃত্বে বিজেপির কার্যকলাপ চলছিল। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের পর থেকে সেখানে দলের সংগঠন তলানিতে পৌঁছেছে। একইভাবে বিষ্ণুপুরের বিধায়ক অনেক আগেই বিজেপি ছেড়েছেন। তবে ইন্দাসে বিধায়ক বিজেপিতে থাকলেও নিচুতলার কর্মীরা কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। তাই গ্রামীণস্তরে সদস্য সংগ্রহের জন্য বাড়ি বাড়ি যাওয়ার লোক খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই ওই তিন বিধানসভা কেন্দ্র এলাকায় টার্গেট পূরণ নিয়ে সংশয়ে দলের নেতারা।