• পিকনিকের মরশুমে গৌড়দিঘি, সারংবাড়িতে ঢল নামার সম্ভাবনা 
    বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: দক্ষিণ দিনাজপুরের ফরেস্টগুলিতে পিকনিক নিষিদ্ধ হওয়ায় একাধিক পিকনিক স্পটকেই বেছে নিচ্ছেন পর্যটকরা। বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরে জেলা ও জেলার বাইরের পর্যটকরা জেলার একাধিক ফরেস্টে আসেন পিকনিক করতে। এবারেও বনদপ্তর জেলার কুশমণ্ডির আইরা ফরেস্ট, তপনের পাহাড়পুর, ও বালুরঘাটের দোগাছি, রঘুনাথপুরে পিকনিক নিষিদ্ধ করেছে। তাই জেলার মধ্যে একাধিক পিকনিক স্পট খুঁজে নিয়েছেন পর্যটকরা। জেলার পিকনিক স্পট হিসেবে বিশেষভাবে পরিচিতি পেয়েছে হরিরামপুর ব্লকের গৌড়দিঘি,  হিলির সারংবাড়ি। এছাড়াও ঐতিহাসিক পর্যটন কেন্দ্র বাণগড় ও ধলদিঘির পাড় পর্যটকদের নতুন পিকনিকের আস্তানা হতে চলেছে।


    শীতের শুরুতেই জেলার ফরেস্টে কড়াকড়ি শুরু করেছে বনদপ্তর। এর মাঝেও লুকিয়ে পিকনিকের আসর বসতে দেখা যাচ্ছে মাঝে মধ্যেই। কুশমণ্ডির রেঞ্জ অফিসার জয়প্রকাশ রায় বলেন, ফরেস্টের ভিতরে ঢুকে তারস্বরে মাইক বাজানো, আগুন জ্বালানো নিষিদ্ধ। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। যাঁরা বাইরে থেকে আসছেন, তাঁদের আমরা ফরেস্টে ঢোকার আগেই নিষেধ করে দিচ্ছি। ফরেস্টের বাইরেও নোটিস দেওয়া হয়েছে। বড়দিন ও ইংরেজি নতুন বছরে জঙ্গলে ঢোকার রাস্তাগুলিতে সকাল থেকেই দপ্তরের কর্মীরা পিকেটিং চালাবেন। হিলি ব্লকের অধীনে থাকা সারংবাড়ি ও হরিরামপুর ব্লকের অধীনে থাকা গৌড়দিঘিতে পিকনিক করতে পর্যটকদের টিকিট কেটে জায়গা বুকিং করতে হবে। গৌড়দিঘি পিকনিক স্পট হরিরামপুর পঞ্চায়েত সমিতির অধীনে। সভাপতি প্রেমচাঁদ নুনিয়া বলেন, আমরা পর্যটকদের কাছ থেকে সামান্য রেভিনিউ কালেকশন করে পিকনিকের অনুমতি দিয়ে থাকি। গৌড়দিঘিতে তারস্বরে মাইক বাজানো নিষিদ্ধ। পিকনিক স্পটে মদ পানও নিষিদ্ধ। পর্যটকদের জলের পরিষেবা থেকে শৌচালয়ের ব্যবস্থা থাকছে। প্লাস্টিক সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। জঙ্গনে পিকনিক নিষিদ্ধ হওয়ায় গৌড়দিঘি,  হিলির সারংবাড়ি, বাণগড় ও ধলদিঘির পাড়ে মানুষের ঩ভিড় উপচে পড়ার সম্ভাবনা বড়দিন থেকেই।


    (হরিরামপুরে গৌড়দিঘি পিকনিক স্পট।-নিজস্ব চিত্র) 
  • Link to this news (বর্তমান)