• সরলেন সলিল, সিপিএমের নতুন জেলা সম্পাদক পীযূষ
    বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: সিপিএমের জেলা সম্পাদক বদল হল জলপাইগুড়িতে। সরলেন প্রবীণ নেতা সলিল আচার্য। তিনি তিনবারের জেলা সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি দলের রাজ্য কমিটির সদস্য। এবার নয়া জেলা সম্পাদক হলেন পীযূষ মিশ্র। প্রথমে ছিলেন এসএফআই-এর নেতা। পরবর্তীতে জলপাইগুড়ি সদর দক্ষিণের এরিয়া সম্পাদক, জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ছিলেন। দলের জেলা সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে রবিবার তৈরি হল ৪০জনের কমিটি। উপস্থিত ছিলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।


    জেলা সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়ে দলকে আন্দোলনমুখী করার ডাক দিয়েছেন পীযূষবাবু। এদিন তিনি বলেন, প্রান্তিক মানুষের অধিকার আদায়ে জেলাজুড়ে আন্দোলন আরও জোরদার করতে হবে। দলকে আরও বেশি আন্দোলনমুখী করতে হবে। কর্মীদের সেই বার্তা দিয়েছি। নতুন বছর থেকে লাগাতার আন্দোলনে নামা হবে। প্রান্তিক মানুষের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে যদি ঝান্ডা বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে যৌথ মঞ্চ গড়েই আন্দোলন হবে বলে। তাঁর হুঁশিয়ারি, শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য পাওনা আদায়ে প্রয়োজনে আদালত পর্যন্ত যাব আমরা।


    একশো দিনের কাজ বন্ধ হওয়ায় জলপাইগুড়ি জেলায় সাড়ে চার লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বলে দাবি সিপিএমের নয়া জেলা সম্পাদকের। নাগরিক পরিষেবা দিতে ব্যর্থ জলপাইগুড়ি পুরসভার বিরুদ্ধেও লাগাতার আন্দোলনের  কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি। বলেন, যারা নানা কারণে দলের পাশ থেকে সরে গিয়েছিলেন, তাঁদের ফেরানোর চেষ্টা চলছে। অনেকেই ফিরেছেন। জেলা সম্মেলনের সমাবেশেও যোগ দিয়েছেন।


    এদিকে, সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে সিএএ এবং এনআরসি নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। বলেন, একাংশের মানুষ ভুয়ো নথি দিয়ে নাগরিকত্ব পেয়ে যাচ্ছে। পাসপোর্ট বানিয়ে ফেলছে। আবার ছয়ের দশকে পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছেন, মাইগ্রেশন সার্টিফিকেট আছে, সেই সার্টিফিকেট জমা দিয়েছেন, অথচ এখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থেকে তাঁকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তাঁর আধার বাতিল। যাঁরা ভাবছিলেন, সিএএ হলে নাগরিকত্ব মিলবে। সিএএ, এনআরসি করে অসমের মতো এখানকার মানুষকে জেলে ঢোকানো হবে বলে মন্তব্য তাঁর। এনিয়ে উত্তরবঙ্গের মানুষকে সজাগ থাকতে হবে বলে জানান সেলিম। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)