• বাংলার নতুন আলু খুচরো বাজারে শীঘ্রই
    বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পাঞ্জাব ও উত্তরপ্রদেশের নতুন আলু বাংলার বাজারে ইতিমধ্যে প্রচুর পরিমাণে আসতে শুরু করেছে। এমাসে আর দিন কয়েকের ম঩ধ্যেই, খুচরো বাজারে রাজ্যে উৎপাদিত নতুন আলু চলে আসবে। আশা করছে রাজ্যের ব্যবসায়ী মহল। বাঁকুড়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন আলু মাঠ থেকে ওঠা শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহে তা আরও বাড়বে। সব মিলিয়ে বাজারে আলুর জোগান আরও বাড়তে চলেছে। কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় খুচরো বাজারে অবশ্য নতুন ও হিমঘরে মজুত আলুর দাম খুব বেশি কমেনি। এখনও অনেক বাজারে নতুন আলু ও হিমঘরের জ্যোতি আলু ৩৪-৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও পাইকারি বাজারে দাম অনেকটাই কমেছে। কিন্তু খুচরো বাজারে তার প্রভাব পুরোপুরি পড়ছে না। 


    কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না জানান, সুফল বাংলার স্টলে আলুর দাম কমছে। রবিবার কলকাতায় সুফল বাংলার স্টলে ভালো মানের জ্যোতি আলু ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। বাঁকুড়ার আলুর দাম ২৪ টাকা। এছাড়া প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায় জানান, হিমঘর থেকে ভালো মানের জ্যোতি আলু ২৩-২৪ টাকা  কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাঝারি মানের আলুর দাম ২০ টাকার আশপাশে। দাম কমছে। যেহেতু সুফল বাংলার স্টলে সরকারি উদ্যোগে সরাসরি আলু এনে বিক্রি করা হয় তা‌ই দাম খুচরো বাজারের থেকে কম। ভিন রাজ্যের নতুন আলু পাইকারি বাজারে ২১-২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।


    রাজ্যের হিমঘরগুলিতে এখনও সাড়ে ৩ লক্ষ টনের বেশি আলু মজুত আছে। ৩১ ডিসেম্বর হিমঘর খোলা রাখার বর্ধিত সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও ৩ লক্ষ টন আলু থেকে যেতে পারে বলে হিমঘর মালিকদের আশঙ্কা। বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর ও হুগলির গোঘাট এলাকার হিমঘরগুলিতে বেশি পরিমাণে আলু মজুত রয়েছে। এর কারণ সরকারি বিধিনিষেধের জন্য ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো যাচ্ছে না। ব্যবসায়ী মহল এখনও আশায় বসে রয়েছে, সরকার বিধিনিষেধ কবে তুলে নেবে। কারণ যে-মানের আলু মজুত রয়েছে, তার বেশিরভাগের চাহিদা এরাজ্যে নেই। এসব মূলত ভিন রাজ্যেই যায়। নতুন আলুর জোগান বাড়লে হিমঘরের আলুর চাহিদা আরও কমে যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)