• বারে বারে কটেজে আগুন কেন, মৌসুনিতে নিরাপত্তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
    বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: শনিবারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর এবার নামখানার মৌসুনি দ্বীপের পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ গত তিনমাসের মধ্যে দু’বার দু’টি কটেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। এই পর্যটন কেন্দ্রের কটেজগুলি মূলত কাঠ ও খড় দিয়ে তৈরি। আগুন লাগলেই তা নিমেষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। পর্যটকদের অভিযোগ, উপযুক্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় কটেজগুলিতে আগুন লাগলে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। এছাড়াও বেশিরভাগ কটেজেই বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। কেবল মোটা তার টেনে দায়সাড়াভাবে কাজ সেরেছে দপ্তর। সেকারণে শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগার মতো ঘটনা ঘটছে।


    কলকাতা থেকে আসা এক পর্যটক মনোজিৎ দাস বলেন, ‘নিরাপত্তা নিয়ে সত্যিই চিন্তা রয়েছে। কারণ শনিবার যেভাবে একটি কটেজে আগুন লাগল, তা দেখে সবাই আতঙ্কিত। এদিন চোখের সামনেই কটেজটিকে পুড়তে দেখলাম। নিমেষে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছিল। যেহেতু এটি একটি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ, তাই কটেজের মালিককেই অগ্নি নির্বাপণের বিষয়টি দেখতে হবে।’ যদিও কটেজ মালিকদের দাবি, এই পর্যটন কেন্দ্রে গড়ে ওঠা প্রতিটি কটেজেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা রয়েছে। এবিষয়ে মৌসুনি ট্যুরিজম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সভাপতি অরুণ জানা বলেন, ‘রবিবার সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রত্যেক কটেজ মালিককে লিখিতভাবে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে মালিকদের স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, প্রতিটি কটেজে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা রাখতে হবে। যেসব কটেজে অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা ভালো নেই, সেগুলিকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। অগ্নি নির্বাপণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করে মালিকরা প্রশাসনের কাছে ফিট সার্টিফিকেট দেখালে, তবেই তাঁরা ফের কটেজ ভাড়া দিতে পারবেন। শনিবার যে কটেজেতে আগুন লেগেছিল, অনির্দিষ্টকালের জন্য সেটি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ সুন্দরবন পুলিস জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও বলেন, ‘মৌসুনি পর্যটন কেন্দ্রের কটেজের অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাটি খতিয়ে দেখা হবে।’ - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)