গঙ্গাসাগর মেলার আগেই মুড়িগঙ্গায় চলছে ড্রেজিং, চওড়া হচ্ছে নদীপথ
বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: সামনে গঙ্গাসাগর মেলা। মুড়িগঙ্গায় ভেসেলের চলাচল ক্রমে বাড়বে। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই ড্রেজিংয়ে নজর দিয়েছে সেচদপ্তর। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে মেলার আগেই মুড়িগঙ্গা নদীতে চওড়া করা হচ্ছে ভেসেল চলাচলের পথ, যাকে পরিভাষায় চ্যানেল বলা হয়। কোথাও এই পথ চওড়া হচ্ছে ৫০ মিটার, আবার কোথাও ১৪০ মিটার। এর ফলে অতিরিক্ত বার্জ চালাতেও সমস্যা হবে না। আগামী ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে ড্রেজিংয়ের কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে সেচদপ্তর।
জানা গিয়েছে, লট ৮ থেকে কচুবেড়িয়া পর্যন্ত ভেসেল চলাচলের পথ বা চ্যানেল ১০০ মিটার চওড়া ছিল। এবার ড্রেজিং করে তা ২৪০ মিটার করা হচ্ছে। এছাড়াও এলসিটি ঘাট থেকে ১ নম্বর জেটি পর্যন্ত চ্যানেলের চওড়া ৫০ থেকে বাড়িয়ে ১০০ মিটার করা হচ্ছে। ২ থেকে ৪ নম্বর এবং ৪ থেকে ৫ নম্বর জেটি পর্যন্ত নদীপথ যথাক্রমে ৬০ এবং ৩০ মিটার করে চওড়া হচ্ছে।
অতীতে গঙ্গাসাগর মেলায় ভাটার সময় ভেসেল চলাচলে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এবার ভাটার সময় এই সমস্যা থাকবে না বলেই মনে হয়। কারণ নদীপথ অনেকটাই চওড়া হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ভেসেল আটকে থাকার সম্ভাবনা কম। গতবারের তুলনায় এবার বার্জের সংখ্যা বাড়াচ্ছে প্রশাসন। তাই চ্যানেল চওড়া হলে বার্জের যাতায়াতও মসৃণ হবে বলে আশা করছেন প্রশাসনিক কর্তারা।
অন্যদিকে, গঙ্গাসাগর মেলার সময় ১১৭ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ির চাপ কমাতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে ডায়মন্ডহারবার পুলিস জেলা। তাদের চিন্তার জায়গা হল আমতলা ক্রসিং। এখানে নিত্যদিন যানজট হয়। এই যানজট দূর করতে রাস্তার উপর থেকে টোটো ও অটোর স্ট্যান্ড সাময়িকভাবে সরিয়ে ফেলা হবে। মূল রাস্তায় টোটো ও অটোকে যাত্রী তোলা বা নামানোর সুযোগ দেওয়া হবে না। কোনও হকারকেও বসতে দেওয়া হবে না। ডায়মন্ডহারবার রোডে গাড়ির চাপ বাড়লে দু’টি বিকল্প রাস্তা ফলতা ও হটুগঞ্জ দিয়ে সেগুলিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হবে। পুলিস আধিকারিকদের দাবি, সেক্ষেত্রে মূল রাস্তায় গাড়ির লাইন কিছুটা হলেও কমবে।