নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: বছরখানেক আগে সোদপুরে পাঁচ বিঘার মতো জমি কিনেছিলেন স্বামী। কিছুদিন ধরে ওই জমি নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে বিবাদ চলছিল তাঁর। তার জেরেই আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে ‘ঢাল’ করা হয়েছে যুবতীকে। মন্দারমণিতে তৃণমূল নেতার দেহ উদ্ধারের পর এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন স্ত্রী সুরাইয়া পারভিন। পাশাপাশি তাঁর স্পষ্ট দাবি, আমার স্বামী কখনই আত্মহত্যা করতে পারেন না। এটা পরিকল্পিত খুন। শনিবার সকালে সমুদ্র সৈকত মন্দারমণি থেকে রহস্যজনকভাবে উদ্ধার হয় আমডাঙার তৃণমূল নেতা আবুল নাসারের (৩৪) দেহ। ব্যবসার জন্য টাকা আনতে যাচ্ছি বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন আবুল। শুক্রবার রাতেও পরিবারের সদস্যদের ফোনে বলেছিলেন, পরের দিনই বাড়ি ফিরছি। শনিবার সাতসকালে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন, আবুলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে মন্দারমণির হোটেলে। তড়িঘড়ি তাঁরা পৌঁছন মন্দারমণির ওই হোটেলে। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার এক বন্ধু ও এক যুবতীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। তাদের জেরা করা হচ্ছে। কিন্তু এর মধ্যে চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছেন মৃতের পরিবারের সদস্যরা। স্ত্রী সুরাইয়া পারভিন বলেন, স্বামীকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় স্বামীর এক ব্যবসায়িক বন্ধু জড়িত থাকতে পারে। কারণ, মাসখানেক আগে স্বামী সোদপুরের কাছে একটি পাঁচ বিঘা জমি কিনেছিলেন প্রায় ২ কোটি টাকায়। ওটা আমার নামে হওয়ার কথা। কিন্তু তাতে বাধা দিচ্ছিল ওই বন্ধু। ওই জমির শেয়ার চাইছিল সে। তা না দেওয়ায় তার সঙ্গে স্বামীর অশান্তি হয়। তাই পথের কাঁটা সরাতেই খুন করা হয়েছে স্বামীকে। তাঁর আরও দাবি, স্বামীর অবৈধ সম্পর্কের কথা আমি মানতে পারছি না। ওই মহিলাকে ‘টোপ’ হিসেবে ব্যবহার করেছে ওর বন্ধুরা। ধৃত যুবতী আমডাঙার এক তৃণমূল নেতার ভাগ্নী। তৃণমূল নেতা আবুলের সঙ্গে তাঁর যেমন সখ্য ছিল, তেমনই আবুলের বন্ধুর সঙ্গেও সম্পর্ক ছিল। ওই যুবতী জমি ব্যবসায় সদ্য টাকা ঢালতে শুরু করেছিলেন। এনিয়ে আবুলের বোন বলেন, ‘দাদা জমির ব্যবসা করত। অবৈধ কোনও সম্পর্কে ও জড়িয়েছিল, তা মানতে পারছি না। ওকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। দাদা নেশা করত না। ব্যবসায়িক কারণেই তাঁকে পূর্ব পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে। আমরা চাই, দাদার খুনিদের গ্রেপ্তার করুক পুলিস।’