নামখানায় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র চলছে ভাঙা ঘরেই, আতঙ্কে অভিভাবকরা
বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কাকদ্বীপ: একদিকে হেলে গিয়েছে ইটের দেওয়াল। সেই হেলে যাওয়া দেওয়ালের মাঝখানেই আবার বড় ফাটলও ধরেছে। এক কথায় জরাজীর্ণ বাড়িটি যে কোনও মুহূর্তে ভেঙেও পড়তে পারে।। অথচ সেই বিপজ্জনক বাড়িতেই শিশুদের নিয়ে চলছে ক্লাস। বর্তমান এমনই পরিস্থিতি নামখানা ব্লকের রাজনগর ঘোলাপাড়া অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের। দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ধরে এভাবেই ভাঙা ঘরে চলছে ঘোলাপাড়ার ১৬ নম্বর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র। এই ঘরের ভিতরেই পড়াশোনা ও রান্নার কাজ হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ, বিষয়টি বিভিন্ন দপ্তরে জানানো হয়েছিল। কিন্তু আজও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। সবাই নতুন ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস অবশ্য দিয়েছেন। কিন্তু নতুন ঘর মেলেনি।
প্রায় ১৮ বছর আগে এই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রটির নতুন ভবন তৈরি করা হয়েছিল। প্রথম দিকে সব ঠিকঠাক ছিল। কিন্তু আয়লা ঝড়ের সময় ঘরটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঘরের দরজাটি ভেঙে যায়। এমনকী জানালার পাল্লাগুলিও ভেঙে পড়ে। তারপর থেকে আজও পর্যন্ত ঘরটি একই পরিস্থিতিতে রয়েছে। তবে বর্তমান পুরো ঘরটি খুবই বিপজ্জনক অবস্থায়। এলাকাবাসীদের দাবি, যে কোন মুহূর্তে ঘরটি ভেঙে পড়তে পারে।
এ বিষয়ে স্থানীয় এক বাসিন্দা শেখ নাসির বলেন, অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের দেওয়ালগুলির চারিদিকে ফাটল ধরেছে। বাড়ির ছেলেকে ওই কেন্দ্রে পড়াতে পাঠাতে হয়। তবে সারাক্ষণই আতঙ্কের মধ্যে থাকি। যে কোনও মুহূর্তে পুরো বাড়িটি ভেঙে পড়তে পারে। এছাড়া বর্ষাকালে ওই ঘরের ভিতরে বসে পড়াশোনা করাও যায় না। কারণ ঘরের ভিতরেই জল জমে যায়। তখন থালা দিয়ে জল ছেঁচতে হয়।
অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের কর্মী মিতা পন্ডা দাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের ভবনটি বেহাল হয়ে পড়ে রয়েছে। বসে পড়াশোনা করার মতো অবস্থা একদমই নেই। কিন্তু নিরুপায় হয়েই রোজ ওই ঘরের ভিতরেই ক্লাস করাতে হয়।
নামখানা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিষেক দাস বলেন, ওই অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সমস্যার কথা শুনেছি। শীঘ্রই ওই কেন্দ্রের ভবনটি মেরামত করা হবে। - নিজস্ব চিত্র