• মমতার নির্দেশে আদিবাসী এলাকায়  মানুষের দুয়ারে পৌঁছলেন চার মন্ত্রী
    বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আদিবাসী, তফসিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষজন কেমন আছেন? তাঁদের কোনও সমস্যা আছে? রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা ঠিকমতো পাচ্ছেন তো তাঁরা? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মানুষের দুয়ারে হাজির হয়ে গেলেন রাজ্যের চার মন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রথমে তাঁরা যান উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায়। পরের ধাপে তাঁরা যাবেন দক্ষিণবঙ্গের কোনও গ্রামে। 


    গত ১৮ নভেম্বর নবান্ন সভাঘরে রাজ্য ট্রাইবস অ্যাডভাইজরি কাউন্সিলের বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেখানে। রাজ্যের চার মন্ত্রীকে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় যাওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেইমতো গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের নাগরাকাটায় গিয়েছিলেন মন্ত্রী বুলুচিক বরাইক, বীরবাহা হাঁসদা, জ্যোৎস্না মান্ডি ও সন্ধ্যারাণি টুডু। নাগরাকাটায় চা-বাগান পরিদর্শন করেন তাঁরা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন। গ্রাম ঘুরে দেখেন। মানুষ কেমন আছেন, কীভাবে দিন কাটছে, বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয়ে সরেজমিনে খোঁজখবর নেন তাঁরা। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজনের কাছে গিয়ে মন্ত্রীরা বলেন, ‘আমরা ভোটের পাখি হয়ে আপনাদের কাছে আসিনি। বিজেপির মতো সদস্য সংগ্রহ অভিযান করতেও আসিনি। আপনারা কেমন আছেন, তা জানতে আমাদের পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আপনাদের অভাব, অভিযোগ, সমস্যা, চাওয়া- পাওয়ার কথা শুনতে আমাদের পাঠিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।’


    মন্ত্রীদের দুয়ারে দেখে স্বভাবতই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন বাসিন্দারা। রাজ্য সরকারের তরফে কী কী সুযোগ-সুবিধা তাঁরা পাচ্ছেন, সবিস্তারে জানান মন্ত্রীদের। রাজ্য সরকার যে চা-বাগান এলাকায় ক্রেশ, স্বাস্থ্যকেন্দ্র তৈরি করে দিয়েছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেন তাঁরা। হাতির আক্রমণে ফসল নষ্ট হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। মন্ত্রীরা তাঁদের আশ্বস্ত করে জানিয়ে এসেছেন, এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া, ঘরের সমস্যা, পাট্টা, জাতিগত শংসাপত্রের বিষয়ে সাধারণ মানুষকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করেছেন মন্ত্রীরা। বুলুচিক বরাইক বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যে আমরা দক্ষিণবঙ্গের একটি জেলায় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের কাছে পৌঁছব। তাঁদের কথা শুনব। সাধারণ মানুষ বলছেন, কেন্দ্র খোঁজ নেয় না। আপনারা এসেছেন। এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।’ মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পাঠিয়েছেন শোনার পর মানুষের অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল, তাঁরা সর্বেতোভাবে রাজ্য সরকারের পাশে রয়েছেন।’ আরেক মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ‘আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ আমাদের সঙ্গে খোলা মনে কথা বলেছেন। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কীভাবে তাঁরা উপকৃত হচ্ছেন, তা নিজেরাই জানিয়েছেন আমাদের। আমরা বছরভর তাঁদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছি।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)