• বৈতালিক এবং উপাসনার মধ্যে দিয়ে শান্তিনিকেতনে শুরু ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা...
    আজকাল | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: 'মোরে ডাকি লয়ে যাও মুক্ত দ্বারে' সঙ্গীতে বৈতালিক এবং উপাসনার মধ্যে দিয়ে শান্তিনিকেতনে শুরু হয়ে গেল পৌষমেলা ও পৌষ উৎসব । সোমবার ভোর থেকেই শান্তিনিকেতন গৃহ থেকে ভেসে আসে সানাইয়ের সুর। তার পরেই ছাতিমতলায় উপাসনা। সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ উপাসনায় অংশ নেন বিশ্বভারতীর ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য বিনয়কুমার সোরেন, বিশ্বভারতীর কর্মী, অধ্যাপক ছাড়াও সকল ছাত্রছাত্রীরা। উপস্থিত ছিলেন বীরভূমের জেলা সভাধিপতি কাজল শেখ ও জেলাশাসক বিধান রায়। এ বার মেলার আয়োজনের দায়িত্বে রয়েছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট। এ বছরের মেলা চলবে ছয় দিন।

    ১৮৪৩ সালের ২১ ডিসেম্বর (৭ পৌষ) মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর রামচন্দ্র বিদ্যাবাগীশের কাছে ব্রাহ্ম ধর্মে দীক্ষিত হন। পরবর্তীকালে এই ধর্মের প্রচারও করেন। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে  দেবেন্দ্রনাথ ১৮৪৫ সালে কলকাতার গোরিটির বাগানে উপাসনা, ব্রাহ্মমন্ত্র পাঠের আয়োজন করেন। এভাবেই সূচনা হয় পৌষমেলার। পরে ১৮৬২ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শান্তিনিকেতনে আশ্রম প্রতিষ্ঠার কথা ভাবতে শুরু করেন। ভাবনার দীর্ঘদিন বাদে ১৮৯১ সালে ব্রহ্মমন্দির বা উপাসনাগৃহ প্রতিষ্ঠিত হয়। এখান থেকেই শান্তিনিকেতনের পৌষ উৎসবের সূচনা। ১৮৯৪ সালে এই উৎসবের পাশাপাশি মন্দির সংলগ্ন মাঠে শুরু হয় পৌষমেলা। 

    দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে মেলার পরিধি। পরে মেলা উঠে আসে পূর্বপল্লীর মাঠে। ২০১৯ সালের পর ফের সেই পূর্বপল্লীর মাঠেই মেলার আয়োজন করলো বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। গত বছর মেলার আয়োজন করেনি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। রাজ্য সরকার বীরভূম জেলার প্রশাসনকে দিয়ে বিকল্প পৌষমেলার আয়োজন করে।

    পৌষমেলাকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই শান্তিনিকেতনে পর্যটকের ভিড়। শান্তিনিকেতনের প্রায় সমস্ত হোটেলই কোনও ঘর খালি নেই। পর্যটকদের আগমনে খুশি ব্যবসায়ীরাও।
  • Link to this news (আজকাল)