মক্ষীরানির গুণ্ডারা পুলিসকে ঘিরে ধরাতেই পালাতে সক্ষম হয় মনোজ
বর্তমান | ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি কলকাতা: পাসপোর্ট জালিয়াতিতে অভিযুক্ত পলাতক মনোজ গুপ্তার গার্লফ্রেন্ডই অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের আশ্রয়দাতা। নথি তৈরি না হওয়া পর্যন্ত তার বাড়িতেই রাখা হতো সকলকে। তাদের পাহারার জন্য মাসলম্যান পুষেছিল ওই মহিলা। পাসপোর্ট কাণ্ডের তদন্তে নেমে এই তথ্য হাতে এসেছে কলকাতা পুলিসের। ওই গুন্ডাবাহিনীর বাধায় মনোজকে গ্রেপ্তার না করে ফিরে আসতে হয়েছিল টিমকে।
বেহালার একটি বেসরকারি সংস্থার কর্মী দীপঙ্কর দাসকে গ্রেপ্তারের পরই লালবাজারের গোয়েন্দারা জানতে পারেন, কীভাবে জাল নথি তৈরি হচ্ছিল হরিদেবপুর এলাকায়। তার আগে সমরেশ তদন্তকারীদের জানায়, তার বস মনোজই জাল নথি তৈরির মূল মাথা। বেপাত্তা মনোজের মোবাইল থেকে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, বনগাঁয় এক মহিলার সঙ্গে তার নিয়মিত কথা হয়। সেই মক্ষীরানি আবার অভিযুক্তের গার্লফ্রেন্ড। তার কাছেই রয়েছে মনোজ।
তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই মহিলাই চক্রের বড় মাথা। বনগাঁ বসিরহাট সীমান্তে তাঁর কয়েকশো এজেন্ট রয়েছে। নিয়মিত বাংলাদেশেও যাতায়াত আছে মহিলার। তার এজেন্টরাই অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে আসছে এদেশে। এরপর ওই মক্ষীরানির বাড়িতে রাখা হচ্ছে। যাঁদের বাড়িতে রাখা সম্ভব হচ্ছে না, তাঁদের গেস্ট হাউস বা হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মনোজ সমস্ত নথি ও জাল পাসপোর্ট ওই মহিলাকে পাঠাচ্ছে। মনোজ কলকাতা থেকে পালিয়ে তার কাছে আশ্রয় নিয়েছিল। তল্লাশির সময় সে ওই বাড়িতেই ছিল। পুলিস আসার খবর কোনওভাবে পৌঁছে যায় মক্ষীরানির কাছে। এরপর মাসলম্যান নামিয়ে পুলিসকে ঘিরে রাখা হয়। গোয়েন্দারা এলাকা ছাড়তেই পালায় মনোজ।