চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল পর্যন্ত চলাচল করবে মেট্রো? আশা দেখালেন হুগলির তৃণমূল সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার এলাকার উন্নয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে হুগলির জেলাশাসক মুক্তা আর্যর সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। সেখানেই মেট্রোর সম্প্রসারণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পরে তিনি এ ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বৈঠক শেষে তৃণমূলের এই তারকা সাংসদ বলেন, ‘মেট্রো যদি চুঁচুড়া, ব্যান্ডেল পর্যন্ত আনতে পারি সেক্ষেত্রে মানুষের অনেক উপকার হবে। এই নিয়ে চিঠিপত্র চলছে। তবে তা কেন্দ্রের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। এই বিষয় নিয়েও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হলো। জেলাশাসকও বলেছেন এই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে বহু মানুষ উপকৃত হবেন।’
তিনি রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে একটি চিঠি দিয়েছেন বলেও জানান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই চিঠির উত্তরও দিয়েছেন রেলমন্ত্রী, জানান তিনি। রচনা বলেন, ‘রেলমন্ত্রী চিঠির জবাব দিয়েছেন। সবথেকে বড় কথা, তিনি বলেছেন কী ভাবে বিষয়টি এগোনো যায় তা তিনি দেখছেন। এ তো সরাসরি ব্যান্ডেল শুধু নয়, মাঝে শ্রীরামপুর রয়েছে, হাওড়া রয়েছে। হাওড়ায় প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন, শ্রীরামপুরে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। সকলের সঙ্গে মিলিতভাবে তা করতে হবে। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি চেষ্টা করব মানুষের জন্য। কেন্দ্রের হাতে যেটুকু রয়েছে সেটুকু নিয়ে যদি তারা দয়াশীল হন তাহলে আমরা লড়তে পারি।’
তবে এই প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে সরাসরি কোনও কথা হয়নি বলেই জানান রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে আশায় বুক বাঁধছেন বহু মানুষ।
উল্লেখ্য, নির্বাচনের আগে হুগলিতে মেট্রো আনার কথা শোনা গিয়েছিল প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের কণ্ঠেও। তিনি বলেছিলেন, ‘হুগলি পর্যন্ত মেট্রো হলে ভালো হয়। এই বিষয়টি আমি রেল মন্ত্রকের নজরে আনব।’
এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও বলেছিলেন, ‘মোদীজি হলেন সঙ্কল্প থেকে সিদ্ধি। সঙ্কল্প করতে হবে, হাওড়া পর্যন্ত মেট্রো গেলে হুগলিতে নয় কেন? গঙ্গার নীচে দিয়ে হাওড়া পর্যন্ত ঐতিহাসিক মেট্রো চালু হয়েছে। হাওড়া থেকে হুগলির দূরত্ব খুব বেশি নয়। আমি চাই হুগলির মানুষও মেট্রো পাক।’ নির্বাচনে অবশ্য হেরে যান বিজেপি প্রার্থী লকেট। এ বার হুগলির বর্তমান সাংসদ রচনার কণ্ঠেও শোনা গেল একই প্রতিশ্রুতি।