নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: বাড়ির আলমারি এবং সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল মামা-ভাগ্নের মৃতদেহ। পলাতক অভিযুক্ত যুবক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহারের ডাউয়াগুড়ির বৈশ্য পাড়ায়। পুলিস সূত্রে খবর, আজ সোমবার সকালে এলাকারই একটি বাড়ির আলমারি থেকে বিজয়কুমার বৈশ্যর (৬০) দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনার মাস দেড়েক আগে ওই বাড়িতে বসবাসকারী গোপাল রায়ও (৫০) আশ্চর্যভাবে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন। সম্পর্কে তিনি বিজয়বাবুর ভাগ্নে। গ্রামবাসীদের সন্দেহ তাঁকেও খুন করেছে অভিযুক্ত প্রণবকুমার বৈশ্য। এরপর পুলিস বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে তাঁর দেহও উদ্ধার করে বলে জানা গিয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয়েছেন জেলার পুলিস সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্যও। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, আজ সকালে মাছওয়ালা বাড়িতে মাছ দিতে আসে। তখনই সে বাড়ির দরজায় রক্তের দাগ দেখতে পায়। বিষয়টি প্রতিবেশীদের জানায় সে। এরপরই থানায় খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিস এসে ওই বাড়ি থেকে ২টি মৃতদেহ উদ্ধার করে। বাবা এবং পিসতুতো ভাইয়ের খুনের মূল অভিযুক্ত প্রণবকুমার বৈশ্য ঘটনার পর থেকেই পলাতক। স্থানীয়দের দাবি, ২৮ বছরের প্রণব ঘোর মাদকাসক্ত। ফলে মাদকের টাকা জোগাড়ের জন্যই এই খুন কী না সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তের খোঁজে এলাকায় জোর তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।