দেবজ্যোতি কাহালি: কোচবিহারে জোড়া খুনে চাঞ্চল্য। কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের ডাওয়াগুড়ি বৈশ্যপাড়া এলাকায় নিজের বাবাকে খুন করে শোকেসের মধ্যে ঢুকিয়ে রাখার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি এক পিসতুতো সম্পর্কের দাদাকেও মেরে সেপটিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত যুবক পলাতক।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রণব বৈশ্য নামে বছর ত্রিশের ওই যুবক নেশা করতেন। আজ সকালে বাড়ির বারান্দায় রক্ত পড়ে থাকতে দেখে প্রতিবেশীরা। ডাকাডাকি পড়ার পর কেউ সারা না দেওয়ায় পুলিসকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিস এসে দেখতে পারেন একটি কম্বলে মোড়া অবস্থায় শোকেসের ভেতর রয়েছে বাবা বিজয় কুমার বৈশ্য এর মৃতদেহ। ছেলে প্রণব কুমার বৈশ্য বাড়িতে ছিল না। এরপরে স্থানীয় মানুষজনের সন্দেহ হয় কারণ এই বাড়িতেই থাকত প্রনব বৈশ্যের এক পিসতুতো দাদা গোপাল রায়, গত একমাস ধরে সেও নিখোঁজ ছিল। এরপরে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে প্লাস্টিকে মোড়া অবস্থায় পাওয়া যায় গোপাল রায়ের মৃতদেহ। দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এলাকার মানুষের দাবি প্রণব বৈশ্য ভীষণ নেশা করতেন। তিনি এই দুটো খুনের জন্য দায়ী।
প্রসঙ্গত, বাবা-মা-বোনকে হাতের শিরা, গলা, নলি কেটে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে দোষী প্রমথেশ ঘোষালকে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত! গত ২৮ নভেম্বর চুঁচুড়া আদালতে সাত জনের ফাঁসির সাজা হয় ২০২০ সালে বিষ্ণু মাল হত্যা মামলায়। আজ দশঘড়ার ঘটনায় ফাঁসির সাজা হল একজনের।
সোমবার চুঁচুড়া আদালতের বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মা শুনানির পর অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা শোনান। পেশায় গৃহশিক্ষক প্রমথেশ সাজা ঘোষণার পর এজলাসে দাঁড়িয়ে বিচারকের কাছে মুক্তির আবেদন করে। কিন্তু বিচারক আবেদন নাকচ করে দেন।