জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'বিজেপির রাজ্য সভাপতির পদ ২৪ ঘন্টার কাজ'। ফের বিস্ফোরক তথাগত রায়। তাঁর মতে, 'কর্মীরা নিষ্ক্রিয়, কারণ ডাক কোথায়? ডাক দেবে কে? সেরকম ডাক দেওয়ার লোকই তো নেই। শুভেন্দুই এই মুহূর্তে যোগ্যতম'।
ঘটনাটি ঠিক কী? বাংলায় লোকসভা ভোটে ফল আশানুরূপ হয়নি বিজেপির। সাংসদ সংখ্যা ১৮ থেকে কমে এখন ১২। এরপর রাজ্যের ৬ বিধানসভা ভোটেও ভরাডুরি। সবকটি আসনেই জিতেছে তৃণমূল। এমনকী, একুশের বিধানলভা নির্বাচনে যে আসনে জিতেছিল বিজেপি, সেই মাদারিহাটেও উপনির্বাচনে ফুটেছে ঘাসফুল!
তথাগত বলেন, 'বঙ্গ বিজেপির সমস্যা কী, সেটা সবাই জানে। আমার পক্ষে খোলসা করে বলার দরকার নেই। আছে কিছু সমস্যা, সংঘ-বিজেপি এই সম্পর্কে আর জোরদার হতে পারছে না বা হচ্ছে না। পূর্ণ সময়ের সভাপতি না থাকা অন্যতম কারণ'। তাঁর প্রশ্ন, 'একজন রাষ্ট্রমন্ত্রীর পদে থেকে কি করে কলকাতায় এসে রাজ্য সভাপতির পদ সামলাবেন'?
তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের পাল্টা কটাক্ষ, 'পার্টিটাই রিজেক্টেড পার্টি, তার ফুলটাইম প্রেসিডেন্ট মানে গোরুর গাড়ির হেডলাইট! এখন যদি কেউ গোরু গাড়ির হেডলাইট খুঁজতে যাই। বিজেপি পার্টি আবার ফুলটাইম প্রেসিডেন্ট'! তিনি বলেন, 'বিজেপি বাংলা থেকে প্রত্যাখাত, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ। ওটা শীতকালের সার্কাস পার্টি চলছে। এরা বাংলার শত্রু। বঙ্গ বিরোধী প্রচার, আর নিজেদের মধ্যে পদ রাখা না রাখার গোষ্ঠী লড়াই। মানুষের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। কোনও কমিটি নেই। বিয়েবাড়ি ঢুকে, শ্রদ্ধবাড়িতে ঢুকে.,.মিসড কল দিয়ে সদস্য, হাস্যকর ব্য়াপার'।